আনোয়ারায় গত দুইদিনে পরিবারের সাথে অভিমান করে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষার্থী আঁখি আকতার (১৫) ও আনোয়ারা সদরের খিলপাড়ায় দিনমজুর সুজন ধর (৪৫) আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় নিজ ঘরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আঁখি আর মঙ্গলবার রাতে ভাড়া বাসার পুকুরপাড়ে কাঁঠাল গাছে গামছা পেঁচিয়ে সুজন আত্মহত্যা করেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে আঁখি আকতার মায়ের সাথে অভিমান করে পরিবারের সবার অজান্তে সকাল ৭ টায় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খায়। এদিকে ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন তাকে জাগাতে গেলে অচেতন অবস্থায় দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে আঁখি সবার ছোট। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন হিরু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে আনোয়ারা উপজেলা সদরের খিলপাড়া গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে পুকুরপাড়ে কাঁঠাল গাছে গামছা পেঁচিয়ে সুজন আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুজন চকরিয়া উপজেলার বণিকপাড়া এলাকার মৃত দুলাল ধরের পুত্র। তিনি আনোয়ারার খিলপাড়ায় দিনমজুরের কাজ করে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম দিদারুল ইসলাম জানান, গত দুইদিনে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নে এক কিশোরী ও সদরের খিলপাড়া গ্রামে এক দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।