আনোয়ারায় ব্যবসায়ী অপহরণের সেই মামলায় ৬ পুলিশ খালাস

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৯:১১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ছয় পুলিশ সদস্যকে খালাস দিয়েছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা সাবিনা ইয়াসমিন আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল আলম বলেন, “আদালত বলেছে, সাক্ষ্যের অপর্যাপ্ততার কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।”

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) স্পেশাল আর্মড ফোর্স (এসএএফ) এর সদস্য কন্সটেবল আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ ও মোর্শেদ বিল্লাহকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল। তারা সবাই খালাস পেয়েছেন।

রবিউল আলম বলেন, “মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। কিন্তু বাদী আসামিদের শনাক্ত করতে পারেননি।”

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আনোয়ারা থানার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানকে তার বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা আটকে থাকার পর এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।

ঘটনার পরদিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মামলা করেন আব্দুল মান্নান। তদন্তে নেমে পুলিশ চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) স্পেশাল আর্মড ফোর্স (এসএএফ) শাখার ওই ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে।

ঘটনায় ‘সম্পৃক্ততা’ পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে তখন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় তাদের সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।

২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আব্দুল মান্নান বলেছিলেন, “৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে সাত-আটজন বাড়িতে এসে তার ভাই আবদুর নূরকে খোঁজে। নূর বাড়িতে না থাকায় আমাকেই ধরে নিয়ে যায়। তিন কিলোমিটার দূরে চাতরি রোডের উত্তর দিকে নিয়ে যায় আমাকে। তারপর বাড়িতে ফোন করে ১০ লাখ টাকা এনে দিতে বলে।”

মান্নানের মোবাইল ফোন থেকেই তার স্বজনের সঙ্গে অপহরণকারীরা যোগাযোগ করেন দাবি করে তিনি আরও বলেছিলেন, পটিয়া থানার ভেল্লা পাড়া ব্রিজের পূর্ব পাশে কৈয়গ্রাম এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে।

তিনি বলেছিলেন, “এক ঘণ্টা পর আমার ভাইরা ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা যোগাড় করে সেখানে যায়। তারা টাকা নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আমাকে সেখানেই রেখে যায়।”

ওই মামলায় পিবিআই-এর দেওয়া অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ছয় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, সীতাকুণ্ডে গ্রেফতার ১
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকত থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার