আনোয়ারায় ডিএপি সার কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে রাঙ্গাদিয়া এলাকার পিডিবি প্রকল্পের ৭০ একর জায়গার মৎস্য প্রজেক্টের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রজেক্ট মালিকরা। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেননি। খবর পেয়ে ডিএপি সার কারখানার জিএম (এডমিন) আলমগীর জলিল এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সকলের উপস্থিতিতে মৎস্য অফিসের বিশেষজ্ঞ দল মরে যাওয়া মাছের ঘেরের পানি পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় মাছের ঘেরে ০.২৫ পয়েন্ট এ্যামোনিয়ার উপস্থিতি রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ দল। জানা যায়, রাঙ্গাদিয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একর পিডিবি প্রকল্পের জায়গায় এনামুল হক, মোহাম্মদ আবদুল করিম, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ মুজিবর ২৫ জন মৎস্য প্রজেক্ট করে আসছেন। তাদের অভিযোগ, কয়েকনি আগে ডিএপি সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের পানি ঢুকে তাদের প্রজেক্টের ৩০ লক্ষ টাকার মাছ মরে যায়। উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য হুজ্জাতুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় মাত্র ০.২৫ পয়েন্ট এ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। সেটা খুবই সামান্য। এমনিতেই এসব মাছের প্রজেক্টে এ্যামোনিয়ার উপস্থিতি কিছুটা থাকে। এর আগে আমরা সিইউএফএলের পাশে যেখানে মাছ মরেছিল সেখানের একটি প্রজেক্ট থেকে পানি পরীক্ষা করেছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের জিএম (এডমিন) আলমগীর জলিল বলেন, প্রজেক্টসহ খামারীদের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনাটি শুনার পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়েছে। পানিতে কোনো বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কি কারণে মাছগুলো মারা গেছে তা সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।