আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচরে জনতার হাতে আটক ৮ বহিরাগতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল বহিরাগতদের হামলায় আহত জালালের ভাই মো. জামাল (৪৫) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মো. মোক্তার (৩৫)কে প্রধান আসামি করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আটককৃতদের কাজ থেকে একটি বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মাহমুদুল হাসান (৩০), মাহমুদুল ইসলাম সাগর (২২), নজরুল ইসলাম (১৯), আবদুল মালেক (২৭), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), অভিজিত দাশ রানা (২৩), মো.সাগর (২৫) ও মো. সাগর (২৫)। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জালালের পরিবারের সাথে প্রতিপক্ষ মো. মুক্তারের পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। তারই জের ধরে প্রতিপক্ষ মোক্তার বহিরাগত লোক এনে জালালের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার মানুষ বহিরাগতদের ধাওয়া করলে বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাদের ‘ডাকাত’ সন্দেহে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে। আটককৃতদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে আটককৃতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাসান বলেন, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রীসের পরিবারের সাথে স্থানীয় মো. মুক্তারের পরিবারের দীর্ঘদিন বিরোধ রয়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলাও রয়েছে। তারই জের ধরে মো. মুক্তার বহিরাগত লোক ভাড়া করে এনে চেয়ারম্যানের ফুফাতো ভাই জালালের ওপর হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাদের ধাওয়া করে। পরে তারা বরুমচড়ার ভরাচরে জনতার হাতে আটক হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। মুক্তার ও আটককৃত ৮ জনসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।