আনোয়ারা উপজেলায় শোলকাটা সুরত বিবি হেফজ ও এতিমখানা মাদ্রাসার এক ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কখন এ ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসার মোতোয়াল্লী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৭ মাস আগে হেফজখানার শিক্ষক হাফেজ কামাল উদ্দীন হেফজ বিভাগের ছাত্র মো.সাকিবকে মারধর করেন। ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত শিক্ষকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করি। আর মারধরের শিকার ছাত্র সাকিবকেও তার পরিবার মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যান। পিটুনির শিকার ছেলেটি হেফজখানার ওই শিক্ষকের ভাগিনা। চাকরিচ্যুতির পর তিনি যাওয়ার সময় ছেলেটিকেও সাথে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি কিছু দিন পর পর মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করতে ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক কামাল উদ্দীন শিশু ছাত্রকে ৫-৬ মিনিট ধরে নির্মমভাবে পেটাচেছন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র সাকিব এর মা ছানুয়ারা বেগম উল্টো ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে সাকিবকে কখনো কোনো শিক্ষক মারধর করেননি, আদর করেছেন, যাতায়াতের সমস্যার কারণে আমি আমার ছেলেকে বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় নিয়ে এসেছি। আমার ছেলেকে মারধরের ঘটনা সত্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, ছাত্র পেটানোর ঘটনাটি ঘটেছে আজ থেকে ৬ মাস আগে। আমরা ঘটনাটি জানার পর কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।