আনোয়ারা সরকার হাট এলাকায় তিন কিলোমিটারের বেশি যানজট, ভোগান্তি

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৪ জুন, ২০২৪ at ৯:৪২ অপরাহ্ণ

আনোয়ারায় কোরবানি গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে পিএবি সড়কের সরকার হাট এলাকায় দীর্ঘ তিন কিলোমিটারের বেশি যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৫০ হাজারের বেশি ঈদে বাড়ি ফেরা নানান পেশার মানুষকে।

সড়কের ওপর গরু উঠা-নামার কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মজ্যারটেক, কলেজ বাজার, ফকিরনীর হাট, ফাজিল খার হাট, মালঘর বাজার ও বরকর ব্রীজসহ আনোয়ারার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বাজারগুলোর কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম উঠেছে।

পটিয়া আনোয়ারা বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের পাশে গড়ে উঠা দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ কুরবানির পশুর হাট। বিক্রির জন্য সারা দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই হাটে কোরবানির পশু আনেন পাইকার ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের দেশি গরু, মহিষ ও ছাগলের হাট হিসেবে সরকারহাট সারাদেশে প্রসিদ্ধ।

সেই কারণে কোরবানির দুই দিন পূর্বে আজ শুক্রবার কোরবানির শেষ বাজার হওয়ায় এই বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় ছিল।

নগরের সাথে যোগাযোগ সুবিধা বাড়ার কারণে পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে এই হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড় অনেক বেড়ে যায়। সেই কারণেও তৈলারদ্বীপ সরকার হাট, বরুমচড়া রাস্তা মাথা থেকে চানপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রীবাহী যানবাহন। ফলে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (১৪ জুন) সরকার হাটের নির্ধারিত হাটের দিনে গবাদিপশুর বেচাকেনা ছিল জমজমাট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল বেশি। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশুর উপস্থিতি ও ক্রেতার ভিড়ে দুপুরের মধ্যেই হাটের বিস্তৃতি ঘটে মূল সড়ক পর্যন্ত।

মূল সড়কে গরু মহিষ উঠানামা, নগরী থেকে যাওয়া যাত্রীদের ব্যক্তিগত গাড়ির চাপে পিএবি সড়কে যান চলাচল একরকম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পিএবি সড়কের বরুমচড়া রাস্তার মাথা থেকে তৈলারদ্বীপ সেতুর ওপার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৭/৮ ঘন্টা বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।

যাত্রীদের অভিযোগ ঘন্টার পর কোনটা যানজটে পড়ে থাকলেও গাড়ির লাইন সচল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোখে পড়েনি। যানজটে এম্বুলেন্স ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে আছে। কারো দায়বদ্ধতা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার হাটের এক ইজারাদার বলেন, যানজট নিরসনে সরকারহাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভলান্টিয়ার নিয়োজিত রয়েছে। তবুও নানা কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজটের বিষয়ে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, সরকারহাট গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহজ পালনে মক্কায় ১৩০ বছরের বৃদ্ধা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক