জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের জনগণের এ আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াত আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। এইজন্য জামায়াতে ইসলামী অতি অল্প সময়ে ৩০০ আসনে দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পেরেছে। এটি নজিরবিহীন, অন্যদলের জন্য কল্পনা মাত্র। কেননা অন্যান্য দলে প্রার্থী ঘোষণার পর তারা নিজেরা নিজেরাই মারামারিতে লিপ্ত হয়। কিন্তু জামায়াত ইসলামী একমাত্র দল যে দলের সদস্যরা নীতি–নৈতিকতা আর পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শৃঙ্খলা মেনে দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজিমুক্ত দেশ গড়তে হলে কোরআনের শাসন কায়েম করতে হলে এদেশে জামায়াত ইসলামীর বিকল্প নেই।
গত মঙ্গলবার জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আয়োজিত আনোয়ারা–কর্ণফুলীর সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সম্মেলন ও চট্টগ্রাম–১৩ আসনের প্রার্থী পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় চট্টগ্রাম–১৩ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, জামায়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবতার মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গত ১৭ বছর ধরে কিশোর যুবকেরা ভুলে গেছে ভোট কাকে বলে। ছাত্রদের রক্তের উপরে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যেকোনো মূল্যে সে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবুল হাসান খোকার সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামী দক্ষিণ জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ইসমাইল হক্কানি, আনোয়ারা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাস্টার মনসুর আলী, ইসলামী ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম পশ্চিমের সভাপতি আব্দুর রহিম, আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাস্টার এম এ গণি, কর্ণফুলীর আমীর মনিরুল আবছার, সেক্রেটারি নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, এডভোকেট মো. হারুন, সায়্যেদ আতিক জামালী ও বখতিয়ার মাহমুদ।