আনোয়ারার ৯ ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে আসলেও ভয় শুধু সমন্বয় সভায়!

এম নুরুল ইসলাম, আনোয়ারা

| বৃহস্পতিবার , ২৭ জুন, ২০২৪ at ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচনের পর সমন্বয় সভা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ইউপি চেয়ারম্যানরা নিরাপত্তাহীনতার দাবি তুললেও গত এক সপ্তাহে তারা উপজেলা পরিষদে এসে কথাবার্তা বলেছেন। কেউ কেউ নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে দেখা করে কুশল বিনিময়ও করেছেন। কিন্তু সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলছেন না। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার আবারও উপজেলা সমন্বয় কমিটির মুলতবি সভা আহ্বান করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, গত ২০ জুন উপজেলার ৯ ইউপি চেয়ারম্যান নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম সমন্বয় সভায় অনুপস্থিত থাকেন। তারা তখন নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত তুলেন। কিন্তু পরবর্তীতে চেয়ারম্যানদের অনেকেই ইউএনও ইশতিয়াক ইমনের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসেও যান কেউ কেউ। বারখাইনের চেয়ারম্যান হাসনাইন জলিল চৌধুরী শাকিল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকের সাথে দেখা করে ঈদের কোলাকুলিও করেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

তারপরও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেছেন চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব। সদর ইউপি চেয়ারম্যানের জিডিতে আবেদনের তারিখ গতকাল বুধবার (২৬ জুন) থাকলেও তা একদিন আগে ২৫ জুন এন্ট্রি দেখানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের এমন অবস্থানে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক ইমন বলেন, দুইদিন আগে চেয়ারম্যানদের অনেকে উপজেলা পরিষদে এসেছেন, আমার অফিসেও এসেছেন। কিন্ত সমন্বয় সভায় আসতে কী সমস্যা লিখিতভাবে জানাননি। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় মুলতবি সভা আহ্বান করা হয়েছে। চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত না হলে পরবর্তী সভা আহ্বান করা হবে। এরপরও যদি না আসেন আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন, চেয়ারম্যানগণ উপজেলা সমন্বয় সভায় না যাওয়ার মত কোনো পরিস্থিতি আনোয়ারায় হয় নি। তারা যে হুমকির কথা বলছে সেগুলো তদন্ত ছাড়া মন্তব্য করা যাবে না। জুইদন্ডি ইউপি চেয়ারম্যানকে সমন্বয় সভায় যোগদানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত হয় নি। নিরপাত্তার কী সমস্যা প্রশ্নে তিনি হেসে বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে বলব’। উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, সব কিছুই স্বাভাবিক, ৯ চেয়ারম্যানই শুধু নিরাপত্তার মিথ্যা গল্প বানিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্যে আজগুবি জিডি করছে। জনগণ এখন বোকা নেই। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বিশ্বাস করলে তাদের অবশ্যই সমন্বয় সভায় আসা উচিত। না হয় জনগণই তাদেরকে ধিক্কার জানাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালী-আনোয়ারায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধবেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব ঢাবির সিনেটে