আনোয়ারায় গত সোমবারের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কারণে গাছ ভেঙে পড়ে, তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে ৯০ হাজার গ্রাহক গত দুইদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছেন। এলাকায় ভুতুড়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আনোয়ারা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আনোয়ারায় ১১ ইউনিয়নে ১২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। ১ হাজার ৪৪ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতি হয়েছে। ট্রান্সফারমার নষ্ট হয়েছে ২টা, ইন্সুলিটার ভেঙেছে ৬টা, ২৭ স্থানে তার ছিড়েছে আর গাছ পড়েছে ৫৬টি স্পটে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইলধর ইউনিয়নে।
গতকাল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারা সদর, চাতরি, বটতলী ও হাসপাতাল এলাকায় আংশিক বিদ্যুৎ চালু হয়েছে। তবে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, রাতের মধ্যে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু হবে।
সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আনোয়ারার ১১টি ইউনিয়নের ৯টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। ৯০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ১০ হাজার গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। গত সোমবার বিকালে গাছ পড়ে আনোয়ারা–চন্দনাইশ পিএবি সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের তথ্য মতে, সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হাইলধর ইউনিয়নের ৫টি স্পটে গাছ কেটে রাস্তার যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মুজিবুর রহমান জানান, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নে সড়কের উপর গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় সেসব গাছ কেটে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছে। এছাড়া গ্রামের ভেতর অনেক চলাচলের রাস্তায় এখনো গাছ পড়ে আছে।