আনোয়ারার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৮ ইউপিতে চেয়ারম্যানদের অপসারিত করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে তিন ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান থাকায় তাদের স্বপদে বহাল রাখা হয়।
গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অধিকাংশ চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়। এতে পরিষদের সেবা কার্যক্রমে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। পরিষদের সেবা কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়াতে গতকাল বুধবার ৮ চেয়ারম্যানের স্থলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
চিঠিতে চেয়ারম্যানদের নাম উল্লেখ পূর্বক জানানো হয়, আনোয়ারা উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদে জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হল। অপসারিত চেয়ারম্যানেরা হলেন বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, বরুমচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী, বারখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুসনাইন জলিল শাকিল, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল ও জুইদণ্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস। অপসারিত অধিকাংশ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় বিস্ফোরক ও অপহরণ মামলা রয়েছে। আর বরুমচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়– বৈরাগ, বারখাইন, আনোয়ারা সদর, বারশত ও চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার। অন্যদিকে রায়পুর, বরুমছড়া, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুসাইন মুহাম্মদ। বটতলী, হাইলধর ও পরৈকোড়া ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান থাকায় তাদের স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে।
দৈনিক আজাদীকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার।
