চট্টগ্রামের আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়া ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে তিনটি মহিষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) বিকালে বসুন্ধরা চরের গোবাদিয়া খালের পানি খেয়ে মহিষগুলো মারা গেছে বলে বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মহিষের মালিক দক্ষিণ বন্দর কান্তিরহাট গোয়ালপাড়া এলাকার মোহাম্মদ রফিক জানান, রোববার বিকেলে বসুন্ধরা চরে মহিষগুলো আনতে গেলে দেখি তিনটি মহিষ মারা যায়। এরকম আরও অনেক কৃষকের কয়েকশত গরু-মহিষ প্রতিদিন বিচরণ করে এই বিলে।
কৃষক রফিকের অভিযোগ, এর আগে বর্জ্য পানি ছাড়ার আগে মাইকিং করলেও এবার করেনি ডিএপি কারখানা। যার ফলে আমরা সতর্ক হতে পারিনি। আমার তিনটি মহিষ মারা গেছে। আরো বেশ কয়েকটি মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেটা আগামীকাল বলতে পারব। আমার মারা যাওয়া তিনটি মহিষের দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিএপি’র বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা থাকলেও তা না করে সরাসরি খালে ফেলায় খালের পানি বিষাক্ত হয়ে যায়। যা পান করে হরহামেশাই গবাদি পশু মারা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএপি সারকারখানার জিএম (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, কারখানার পানি খেয়ে মারা গেছে এটাতো শিওর না। অন্য কারণে তো মারা যেতে পারে। এটা পোস্টমর্টেম করলে তখন বুঝা যাবে। আমাদের তেমন এ্যামোনিয়ার উৎপাদন নেই। সামান্য যে বর্জ্য যায় তা খেলে পশু মারা যাওয়ার কথা নয়। তারপরও আমরা মানুষের ক্ষতি হোক তা চায়না। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যদি প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা ক্ষতিপূরণ দেব।