আনোয়ারায় সাপমারা খালের বাঁধ অপসারণ চান কৃষকরা, বিক্ষোভ

আনোয়ারা প্রতিনিধি | সোমবার , ২৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের ফুলতলা মৌজা অংশে সাপমারা খালে দেয়া বাঁধ অপসারণে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় শতাধিক কৃষক এই বিক্ষোভ করেন। উপজেলার রায়পুর ও বারশত ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় দশ কিলোমিটার সাপমারা খাল। খালটি একদিকে বঙ্গোপসাগরে অন্যদিকে শঙ্খ নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দুই ইউনিয়নের অন্তত ৫ হাজার কৃষক চাষাবাদ করতে এই খালের জোয়ার ভাটার পানির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু টানেলের নিরাপত্তার জন্য বারশত ইউনিয়নের ফুলতলা মৌজায় চলছে নৌবাহিনীর জন্য আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। চায়না কোম্পানি ফোর সি থেকে সাব ঠিকাদার হিসেবে মোনায়েম কন্সট্রাকশন আবাসিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। গত বছর খানেক আগে সাপমারা খালের ফুলতলা মৌজা অংশে সেতু নির্মাণ করতে খালে ছয় মাসের জন্য বাঁধ দেয় মোনায়েম কন্সট্রাকশন। এতে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। যার জন্য ৫৫ জন মৎস্যজীবীকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই ৫৫ জন জেলের নামের তালিকা মোনায়েম কন্সট্রাকশনকে প্রদান করেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে রায়পুর এবং বারশত ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা তলিয়ে গেলে সাপমারা খাল দিয়ে পানি চলাচল করতে না পারায় স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। অর্ধশত মাছের প্রজেক্টের মাছ পানিতে ভেসে যায়। ফলে এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল স্থানীয় শতাধিক কৃষক সাপমারা খালের ফুলতলা এলকায় বিক্ষোভ করেন। এ সময় আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম, চায়না ফোর সি কোম্পানি ও সাব ঠিকাদার মোনায়েম কন্সট্রাকশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, সাপমারা খালটি এই এলাকার কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে এক বছর ধরে বাঁধ দিয়ে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার কৃষক তাদের চাষাবাদ করতে পারছেন না। আজকে স্থানীয় কৃষকরা বাঁধ এলাকায় বিক্ষোভ করার খবর পেয়ে আমরা পরিদর্শনে আসলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, আমি সাপমারা খালের ফুলতলা মৌজায় বাঁধের স্থান পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে প্রকল্পের কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে বাঁধ অপসারণের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিমানবন্দরের লস্ট এন্ড ফাউন্ড কক্ষ থেকে ৫ কার্টন ত্বকের ক্রিম উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়া ও লোহাগাড়ায় আবারও বন্যা আতঙ্ক