আনোয়ারায় সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতের জন্য সড়ক নির্মাণ করা হোক

| বুধবার , ৩১ জুলাই, ২০২৪ at ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

বন্দর নগরি চট্টগ্রাম শহর থেকে একঘণ্টা সময় পথ পাড়ি দিলেই দেখা যাবে আনোয়ারায় অবস্থিত গহিরা বার আউলিয়া সমুদ্র সৈকত। সৈকতে সাগর পাড়ে যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই। আছে একটি সরু বাঁধ। যা দিয়ে চলাচল করা চরম ঝুঁকি। এ সরু বাঁধটি পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র সকল সম্ভাবনার প্রতীক। সরু বাঁধটি সড়কে রূপান্তর করা হলে সরাসরি গাড়ি যোগে ঝাউবাগান ও প্যারাবন সাগর পাড়ে যাওয়া যাবে। বেড়িবাঁধ থেকে সাগর পাড়ে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। মাছ চাষের প্রজেক্টের চিকন বাঁধের উপর ঝুঁকি নিয়ে ঝাউবাগান ও প্যারাবনের সাগর পাড়ে হেঁটে যেতে হয়। কত দুঃখ আর ভোগান্তি পোহাতে হয় এই সরু বাঁধটি পাড়ি দিতে। পর্যটকেদের যাওয়ার জন্য অন্তত ৮/১০ ফুট চওড়া প্রশস্ত একটা ইটের সলিন সড়ক নির্মাণ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সরু চিকন বাঁধ দিয়ে ছোটো ছোটো বাচ্চা শিশুদের চরম ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ে যেতে হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়ে চরম আহত হয়। বেড়িবাঁধ থেকে নেমে প্যারাবনে যাওয়ার জন্য একটা রাস্তা নির্মাণ পর্যটকদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া পর্যটকবাহি কোনও গাড়ি সরাসরি প্যারাবনে যাওয়ার কোনও রাস্তা না থাকায় গাড়িযোগে মূল প্যারাবনে সাগরপাড়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এক কিলোমিটার দূরে বেড়িবাঁধে গাড়ি রেখে যাওয়া হলে নিরাপত্তা নিয়ে চরম শঙ্কায় থাকতে হয়। আনন্দের সাথে শঙ্কাও যেন সাথী হয়। বেড়িবাঁধ থেকে সাগর পাড়ের দূরত্ব এক কিলোমিটারের মতো। তাই এ পর্যটন শিল্পের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।

মুহাম্মদ মনছুর

আনোয়ারা, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোহাম্মদ রফি : কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধসৃজনে ও মননে স্মরণীয়