আনোয়ারায় মৎস্যপল্লীতে আগুন, ৮৮ ঘর-দোকান পুড়ে ছাই

চন্দনাইশে পুড়ল বসতঘর, ২ গরু অঙ্গার

আনোয়ারা ও চন্দনাইশ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাটের মৎস্যপল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঘাট সংলগ্ন একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ‘কোটি টাকার সম্পদ’ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে উঠানমাঝি ঘাট সংলগ্ন একটি বাসায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসলেও আগুনে জাল, মাছ ধরার সরঞ্জাম, দোকান ও ভাড়া ঘর পুড়ে ছাই হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. এনাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৮০টি মৎস্যজীবীদের ভাড়া ঘর, ৮টি দোকান, জাল ও মাছ ধরার সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়। এ ঘটনায় আমরা মৎস্যজীবীদের দুই কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের অফিসার তানভীর হোসেন জানান, সোমবার উঠান মাঝি ঘাটে আগুনের খবর পেয়ে আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করে। প্রাথমিকভাবে মৎস্যজীবীদের অনেক বাসা, জাল ও মৎস্য সরঞ্জাম পুড়ে যায়। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা যায়নি।

এদিকে চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া দেয়াংপাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে তিনটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় পার্শ্ববর্তী গোয়াল ঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে মারা যায়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিকরা হলেন আবুল কাশেম, মো. সৈয়দ ও শাহানাজ বেগম।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পাশাপাশি আবুল কাশেম, মো. সৈয়দ ও শাহানাজ বেগমের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়। আবুল কাশেমের বসতঘরের সাথে লাগোয়া গোয়ালঘরে থাকা ২টি গরু পুড়ে মারা যায় এবং ১টি গরুর পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এছাড়াও ঘরের সাথে লাগোয়া আবুল কাশেমের মালিকানাধীন একটি টেইলার্সও পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুনে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে ২টি গরু পুড়ে মারা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে পর্যটকের ঢল