আনোয়ারায় ভোগান্তিতে দুই গ্রামের মানুষ

সোহেল. আনোয়ারা প্রতিনিধি | শনিবার , ১৪ জুন, ২০২৫ at ১:৩২ অপরাহ্ণ

আনোয়ারায় দূরত্বগত কারণে নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ডুমুরিয়া-রূদুরা দুই গ্রামের মানুষ। পাশেই উপজেলা সদর ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হলেও এই দুটি গ্রাম প্রশাসনিক কার্যক্রমে ৪ কিলোমিটার দূরে চাতরী ইউনিয়নের সাথে যুক্ত। ক্ষুব্দ এলাকাবাসী প্রশাসনিক এই বিভাজন ভেংগে দুই গ্রামকে আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

আনোয়ারা উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে ডুমুরিয়া-রূদুরা গ্রাম। এর পাশেই সদর ইউনিয়ন কার্যালয়। দুটি গ্রামে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। ইউপি চেয়ারম্যান সংশিষ্ট নাগরিক সেবা গ্রহনে ৪ কিলোমিটার দূরে ইউপি কার্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই এলাকাটি আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করা হলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে এলাকার মানুষ।

ডুমুরিয়া, রূদুরা দুটি গ্রামকে চাতরী ইউনিয়নের পরিবর্তে কাছের আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাথে যুক্ত করার দাবিতে উঠোন বৈঠক, পাড়ায় পাড়ায় জনমত গঠন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে স্থানীয়রা। এসব কর্মসুচিতে দলমত নির্বিশেষে হাজারো মানুষ অংশ নিচ্ছে। আজ রবিবার এলাকাবাসাইর পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য নজির হোসেন ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত। তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে এক সময় ডুমুরিয়া-রূদুরা গ্রাম ছিল আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের অংশ। এই দুই গ্রামের মানুষকে সদর ইউনিয়ন হয়ে যাতায়াত করতে হয়। অজানা কারণে স্বাধীনতার পর এলাকা বিভাজনের সময় এই দুই গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ৪ কিলোমিটার দূরের চাতরী ইউনিয়নের সাথে। অথচ ডুমুরিয়া থেকে চাতরী যাওয়ার অভ্যন্তরীণ সড়কটিই এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এত দূরে হয়ে শুমুরিয়া, রূদুরা গ্রামকে চাতরী ইউনিয়নে নেয়া কোন যুক্তিতে পড়ে না।

স্থানীয় সংগঠক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বছরের পর বছর ধরে দূরের ইউনিয়ন নিয়ে ভোগান্তিতে আছে সাধারণ মানুষ। এই অযৌক্তিক বিভাজনের অবসান দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবীজির শিক্ষা-দর্শন চর্চা, গবেষণা প্রয়োগের মাধ্যমেই সমাজ পরিশুদ্ধ হয়
পরবর্তী নিবন্ধসাধারণ জনগণের মাঝে এম এ মহসিন ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান