আনোয়ারায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ মামলা

গ্রেপ্তার ৭

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে। গত সোমবার আনোয়ারা থানায় এই ৪টি মামলা রেকর্ড হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আবুল কালাম আজাদ (৫৩, নুরুল আবছার (৫৫), মোহাম্মদ কাসেম (৪৫), এরফানুর (৩১), মো. আরফাত (২৬), মো. শফিউল আলম (২৬) ও মো. মোস্তাক আহমেদ (৫৫)

আনোয়ারা থানা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার মধ্যরাতে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ পুলিশ সদস্যসহ আনুমানিক ১৫ জন আহত হয়। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক যুবক অপহরণের শিকার হয়।

পরবর্তীতে সোমবার সকালে তাকে একপক্ষ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মোফাজ্জেল হোসেন জুয়েল, মো. বুরহান উদ্দিন, গাজি মুহাম্মদ ফোরকান, জিয়াউল কাদের জিয়া, রবিউল ইসলাম নয়ন, মো. আরফাতসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করা হয়। একই সাথে মোস্তাফিজুর রহমানকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল গফুর সওদাগর বাদী হয়ে মো. ছাদেক (৫৩) নুরুল কবির রানা (৩৬), মো. এরশাদ (৩৪), সাহেদ খান রিপন (৩৪), মঈন উদ্দীন (৩২), রফিক (৪০), মিজান (৩৩), জীবন (২৫), আবুল কালাম (৪৫), নুর উদ্দিন বাল্লা (৩৫), মারুফ (২৭), বেলাল (২৮)সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা এবং সহিংসতার ঘটনায় এসআই জুয়েল মিয়া বাদী হয়ে গাজী মুহাম্মদ ফোরকান, জিয়াউল কাদের জিয়া, রবিউল ইসলাম নয়ন, মোশাররফ হোসেন সোহেল, মো. হোসেন, রাশেদ ইকবাল, ফরহাদ করিমসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। একই সাথে এসআই জুয়েল মিয়া বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণের দায়ে মোহাম্মদ ফোরকান (৪২) ও জিয়াউল কাদের জিয়া (৪০) এর বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশের ওপর হামলা, অপহরণ ও অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে পৃথক চারটি মামলা হয়েছে। সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কগুলোতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল আর্থিক সহায়তা