আনোয়ারায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু–বৃদ্ধসহ ২৪ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ভিমরুলের কামড়ে এক নারী আহত হয়েছেন। গত সোমবার ও মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত দুই দিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে বিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন শিক্ষার্থী, পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন গ্রামে ২১ জন নারী, পুরুষ, শিশু আহত হয়। কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন বিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া (৯), তার বড় বোন সালমা আকতার (১১) ও হুমাইরা (১২), পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন গ্রামের মৌলানা শফি (৫৫), নাফিজা (৯), সুফিয়া বেগম (৫৫), সাইফুলের স্ত্রী (৩৭), সাইমা (৬), নুরুল আনোয়ার (৬৫), আরাফাত (১১), মাওয়া আকতার (৬), এনায়েত উল্লাহ (১০), তৈয়বা আকতার (২২), শুক্কুরা খাতুন (৬২), আনোয়ার হোসেন (৫৫), ওয়াসিকা আক্তার (২০), নাফিজা আক্তার (১১), ইয়াছমিন আক্তার (৩৬) মোহাম্মদ শাহজান (৪০), মনি আক্তারসহ (১৬) ২১ জন। আহত বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি। তাছাড়া গতকাল সকাল দশটায় বাড়ির উঠোনে কাজ করার সময় আনোয়ারা ঘনপুকুর এলাকার বাসিন্দা অঞ্জনা দেবী (৩৬) ভিমরুলের কামড়ে আহত হয়েছেন। আহতরা আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুকুরের কামড়ে আহত জান্নাতুল মাওয়া বলে, আমরা স্কুলের মাঠে খেলছিলাম। তখন ১টি কুকুর এসে আমাদের কামড়ে দেয়।
কৈখাইন গ্রামের ইউপি সদস্য মো. হোসেন জানান, একটি পাগল কুকুরের কামড়ে গত দুই দিনে এলাকার নারী–পুরুষ ও শিশুসহ ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এলাকাবাসী ওই কুকুরকে মেরে ফেলেছে।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাথী দেবী জানান, গতকাল সকাল থেকে কুকুর আর ভিমরুলের কামড়ের শিকার আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে আনোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অনেকেই ভ্যাকসিন পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ভ্যাকসিন না থাকায় আহত কয়েকজনকে দেওয়া সম্ভব হয়নি।