চট্টগ্রামের আনোয়ারায় রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে উর্মি আকতার (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এরআগে সকাল এগারোটার দিকে চাতরী ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের ঘরে রান্নাঘরে আগুনের ঘটনা ঘটে।
মৃত গৃহবধূ হলেন- উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকায় মো. নঈম উদ্দিনের স্ত্রী। ২০২১ সালে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। সে একই ইউনিয়নের ডুমুরিয়ার রুদ্রুরা এলাকার মো. সেলিম উদ্দিনের কন্যা।
মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঈদেরদিন সকাল এগারোটার দিকে নতুন শাড়ি পড়ে লাকড়ির চুলায় রান্না করছিল উর্মি। এ সময় চুলা থেকে তার শাড়িতে আগুন লাগে। একপর্যায়ে তিনি রান্না ঘর থেকে বের হয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ি ও এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভায়। আগুন নেভাতে গিয়ে তার স্বামী ও চাচাতো দেবরও আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের মামা মোহাম্মদ ফরদাুন্নবী বলেন, সোমবার ঈদেরদিন নতুন শাড়ি পড়ে উর্মি আকতার সকাল এগারোটার দিকে লাকড়ির চুলায় রান্না করছিল। এ সময় চুলা থেকে তার শাড়িতে আগুন লাগে।
একপর্যায়ে সে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে। এ সময় তার স্বামী ও এলাকার লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করেন। রাত এগারোটার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, স্বামী ও তার ছোট্ট সংসারে নেই কোনো সন্তানও। আগুন নেভাতে গিয়ে তার স্বামী ও চাচাতো দেবরও অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতাল থেকে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও ময়নাতদন্ত শেষ করতে পারিনি আমরা। এখনও পুলিশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় লাশ মর্গে পড়ে আছে।
আনোয়ারা থানার ওসি তদন্ত মো. তৈয়্যবুর রহমান বলেন, ‘ঈদের দিন দুপুরে রান্নাঘরে চুলার আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’