আনোয়ারা উপজেলা বৈরাগ ইউনিয়নে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩০) নামে এক গৃহবধূ তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে।
তবে জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারের দাবি স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে ওই গৃহবধূর লাশ তার বাপের বাড়ি উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পূর্বপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া এলাকার সাহেব মিয়ার মেয়ে এবং বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক এলাকার মো. শাহজাহানের স্ত্রী। তার সংসারে দুইটি মেয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি মো. মনির হোসেন।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ৭ বছর আগে আমার বোনের সাথে সামাজিকভাবে বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক দেয়াঙ বাজার এলাকার কাঠমিস্ত্রী শাহজাহানের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী প্রায় সময় মারধর করতো আমার বোনকে।
এসব ঘটনা নিয়ে তাদের এলাকায় একাধিক সামাজিক বৈঠকও হয়। গত সোমবার (৭ অক্টোম্বর) রাতে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়, আমার বোন বিষপান করেছে, তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরপর আমরা হাসপাতে ছুটে যাই। হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার আমার বোন মারা যায়।
স্বজনদের দাবি জান্নাতুল ফেরদৌসকে তার স্বামী প্রায় সময় মারধর করত। সেদিনও তাকে মারধর করে জোরপূর্বক বিষপান করিয়েছে। তাই মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান তারা।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ মনাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।