আনোয়ারা উপজেলার প্রয়াত জননেতা যারা জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফা, ১১ দফা, অসহযোগ আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন– এ সকল কীর্তিবান রাজনীতিক নেতা, জনপ্রতিনিধির স্মৃতি ও কীর্তিগাথা নতুন প্রজন্মের কাছে আলোকপাত করে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং প্রার্থনা অনুষ্ঠান আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এম. নুরুল হুদা চৌধুরী। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন–দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, চমেকের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত আনোয়ারার বিভিন্ন স্থাপনা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
তাই এখন থেকে পরিকল্পনা মাফিক আনোয়ারা উপজেলাকে সাজিয়ে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হতে হবে এবং সরকারকে এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার বিভিন্ন সংস্থাকে তাগিদ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলা ভাষার মূল উৎপত্তিস্থল চর্যাপদের মূল কেন্দ্রস্থল এই আনোয়ারায় দেয়াং পাহাড়ের পাদদেশে প্রাচীনকালের গড়ে তোলা পণ্ডিতবিহার বিশ্ববিদ্যালয়টি পুন:প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ ইদ্রিস, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হোসেন বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছালেহ জহুরের সন্তান এটিএম সেলিমুর রহমান, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, কবি মোহাম্মদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন শাহ্, কবি ফজলুল কাদের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা আনোয়ারার প্রয়াত বীর সন্তানদের উপজেলার সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় নামকরণ করার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।