কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ছে। টানেল নির্মাণ নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য বাড়তি ছয় মাস সময় লাগতে পারে। এজন্য টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে প্রকল্প মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের ইতোমধ্যে ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। প্রকল্পের মেয়াদও আগামী বছরের ডিসেম্বর
পর্যন্ত। বলা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়েই টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্পের কাজে বেশ বিঘ্ন ঘটে। এতে করে চার লেন বিশিষ্ট দুই টিউবের টানেল এবং সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন যে, আগামী ডিসেম্বরেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। কিছু
আনুষ্ঠানিকতার জন্য টানেল দিয়ে যান চলাচল শুরু করা হয়তো সম্ভব হবে না। তাই আগে ভাগে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
টানেলটি চীন সরকারের সহায়তায় চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কন্সট্রাকশান কোম্পানির মাধ্যমে নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের সেগম্যান্ট চীনে প্রস্তুত করে এখানে এনে লাগানো হচ্ছে। এতে করে টানেলটির বহু কাজই চীনের উপর নির্ভরশীল ছিল। করোনাকালে যা ভয়াবহ রকমের সংকট তৈরি করেছিল। এরপরও দেশী বিদেশী প্রকৌশলীসহ বহু মানুষের আন্তরিক চেষ্টার ফলে ইতোমধ্যে টানেল নির্মাণ কাজ ৭৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি বলেও তারা উল্লেখ করেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।