আনন্দবাজারে স্বপ্নটা অন্যরকম

সবজি চাষে ব্যস্ত শতাধিক কৃষক ম আবহাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কাও

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

হালিশহর সাগরপাড়ে শুরু হয়েছে সবুজ বিপ্লব। অর্গানিক টমেটোসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজিতে ভরে উঠেছে মাঠ। টমেটো গাছে থোকায় থোকায় ফুল দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে গুটিও। আগাম ফলনের জন্য চাষ করা এসব টমেটো ক্ষেতে কোটি কোটি টাকার ফলন হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি ও অত্যধিক তাপমাত্রা চাষীদের শংকিত করে তুলছে। শীতকালীন সবজিতে শীতের আবহ না থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের কপালে। দক্ষিণ হালিশহরের আনন্দবাজার ময়লার ডিপোর পাশে সাগরপাড়ের কয়েক হাজার একর আবাদি জমি রয়েছে। এতে গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় কৃষকরা সবজি বিপ্লব ঘটাচ্ছেন। সবজির মধ্যে টমেটোর চাষই বেশি হয়। পাশাপাশি ফুল কপি, বাঁধা কপি, লাউসহ নানা সবজির ফলন চোখ জুড়িয়ে যায়। এক একজন কৃষক কোটি টাকার সবজি বিক্রি করারও রেকর্ড রয়েছে। পতেঙ্গা উপকূলের চাষীদের বিশেষত্ব হচ্ছে তারা বিষমুক্ত অর্গানিক ফসল উৎপাদন করছে। বিশেষ করে আগাম টমেটো চাষ এলাকার কৃষকদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয়। উর্বর মাটি, অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশসহ নানা সুবিধার কারনে সাগরপাড়ে কোটি কোটি টাকার ফলন হয়। বিষমুক্ত টমেটোর তীব্র চাহিদায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠে। ক্ষেতের পাড় থেকেই পাইকারিতে বেশি দামে টমেটো বিক্রি করেন কৃষকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ। কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতে। তবে গতবারের মতো ফুল হলেও রোগাক্রান্ত হলে সংকটে পড়বে বলেও মন্তব্য করেছেন কয়েকজন কৃষক। তারা বলেন, আমাদের সর্বস্ব দিয়ে টমেটো ফলানোর চেষ্টা করছি। তবে ক্ষেতের অবস্থা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো নয়। শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটা সময় বলে দেবে।
একাধিক কৃষক জানান-আগাম টমেটো চাষ ব্যয়বহুল। প্রয়োজনীয় সার ও সেচ দেয়াসহ নানা খাতে এক একটি গাছের পেছনে অন্তত ৫০ টাকা খরচ হয়। এক একটি টমেটো গাছ থেকে গড়ে দশ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। তবে ফলন পেলেই কৃষকরা বাঁচবে। অন্যথায় বিপদে পড়তে হবে।
আনন্দবাজার এলাকার কৃষক মহসীন মিয়া এক কোটিরও বেশি টাকার টমেটো বিক্রি করে আলোচিত হয়েছিলেন। তিনি দৈনিক আজাদীকে জানান, বিস্তর জমিতে তিনি টমেটোর চাষ করেছেন। তবে গাছ হলেও শেষতক ফলন ঠিকভাবে আসে কী-না তা নিয়ে শংকায় রয়েছেন।
কিছু ক্ষেতের অবস্থা ভালো নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘসময় ধরে বৃষ্টি ক্ষেতের ক্ষতি করেছে। আবার তাপমাত্রাও বেশি। এ অবস্থায় শীতকালীন সবজি ঠিকভাবে হয় না। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোর ওপর নির্ভর করছে সাগরপাড়ে বিপ্লব ঘটানো কৃষকদের ভাগ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবির ভর্তি যুদ্ধ শুরু আজ
পরবর্তী নিবন্ধসামপ্রদায়িক হামলার ইন্ধনদাতাদের আপনারা চেনেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী