ময়লার ব্যবসার দ্বন্দ্বে নির্মমভাবে খুন হওয়া জসিম উদ্দিন হত্যা মামলার মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে বন্দর থানা পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার দুজন হচ্ছেন– মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন দিপু (২৫) ও সিয়াম (২৫)। এরমধ্যে নেজাম উদ্দিন দিপু হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা এবং সিয়ামকে তার সহকারী বলে জানিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বন্দর থানা পুলিশের একটি দল গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল দুপুর আড়াইটা নাগাদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে নেজাম উদ্দিন দিপুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বন্দর থানাধীন চান্দারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে।
পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার চান্দারপাড়া সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডিপোতে ডাম্পিংকৃত বাসা–বাড়ির বর্জ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ পঁচা–বাসি খাবার, নষ্ট ফলমূল ও বোতল কুড়ানো, ক্রয়–বিক্রয় সংক্রান্ত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে টিজি কলোনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের সাথে বিরোধ শুরু হয় স্থানীয় নেজাম উদ্দিন দিপু (২৫) ও সিয়াম (২৫)সহ তাদের সহযোগীদের। কিছুদিন আগ থেকে চলে আসা ওই বিরোধের জের ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নেজাম উদ্দিন দিপু ও সোহাগ ও বড় সোহাগসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী টিজি কলোনির প্রবেশমুখে জনৈক রাখাল দাশের বিল্ডিংয়ের সামনে জসিম উদ্দিনের ওপর আক্রমণ চালায়। ওই সময় নেজাম উদ্দিন দিপু ভিকটিম জসিম উদ্দিনের গলায় ছুরিকাঘাত করে। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার ব্যাপারে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হলে পুলিশ গোপন সূত্র এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নেজাম উদ্দিন দিপুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সিয়ামকে। বড় সোহাগসহ অপরাপর সন্ত্রাসীদের পরিচয়ও পুলিশ জানতে পেরেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে বলে গতরাতে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, আসামিদের আজ আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।