প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গতকাল শনিবার আনজুমান–এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামের ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ্–এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় গরীব নেওয়ায খাজা মঈনুদ্দিন চিশ্তী আজমিরী সানজারী রহমাতুল্লাহি আলায়হির ওরস মোবারক যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। সকাল ৯.৩০ টা হতে বিভিন্ন খতমের মাধ্যমে শুরু হয়ে বা’দ যোহর মিলাদ–ক্বিয়াম, আখেরি মোনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে ওরস মোবারকের কার্যক্রম শেষ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের এডিশনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সামশুদ্দীন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস.এম গিয়াস উদ্দীন (শাকের), জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ কাজী আবদুল আলীম রিজভী, উপাধ্যক্ষ এটিএম লিয়াকত আলী, আনজুমান সদস্য মাহবুব ছাফা, ড. মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুল আলম, মোহাম্মদ তৌহিদুল করিম, আনজুমান এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবু ছালেহ্ মোহাম্মদ নঈম উদ্দীন, যুগ্ম–সচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ গোফরান, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রমুখ। জামেয়ার আরবি প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াছ আল–কাদেরির সঞ্চালনায় খাজা গরীব নেওয়াযের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে জামেয়ার ফকিহ্ আল্লামা মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভী বলেন, গাউসে পাকের সাথে খাজা গরীব নাওয়াযের সরাসরি আত্মীয়তার সম্পর্ক, তাঁরা ছিলেন মামা–ভাগিনা। বড়পীরের খাস কামরায় তাঁকে ৫৭ দিন রেখেছিলেন, যেখানে সাধারণত কেউ প্রবেশ করতে পারতেন না। রসূল পাক (দ.) এর সদয় নির্দেশ ও বড়পীরের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নিয়ে তিনি ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচার করতে আসেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুতুবুল মাশায়েখ খেতাব দেন। উক্ত পবিত্র অনুষ্ঠান শেষে দেশ, জাতি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মনোবাসনা পূরণকল্পে, বিশেষ করে সদ্য প্রয়াত ট্রাস্টের জয়েন্ট সেক্রেটারী মোহাম্মদ সিরাজুল হকের জন্য মোনাজাত করেন জামেয়ার প্রধান ফকিহ্ আল্লামা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












