রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অবারিত সুযোগ নিয়ে মুসলিম মিল্লাতের দ্বারে আবারও উপস্থিত হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। যে মাসে অবতীর্ণ হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব আল–কোরআন। পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাসে কোরআনুল কারীমের মর্যাদা মাহাত্ম্য তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিল। তেলওয়াতে কোরআনকে একদিকে যেমন অবিস্মরণীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছেন অন্যদিকে নূরে কোরআন তথা ফয়েজে কোরআন বিতরণের মাধ্যমে কোরআনের শাশ্বত সৌন্দর্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.)। মুসলিম সমাজে কোরআন চর্চার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং কোরআনের বাস্তব শিক্ষায় আদর্শ জীবন গঠনে খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রবর্তিত ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিলে শুধু বাংলাদেশ নয় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের মুসলমানরা খতমে কোরআন শরীফ আদায়ের মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রতি বছর আদায়কৃত হাজার হাজার খতমে কোরআন যার সাক্ষ্য বহন করে। এরই ধারাবাহিকতায়, মাশাআল্লাহ! এ বছরও মোট খতমে কোরআন শরীফ আদায় হয়েছে ১৫,৭০৫ টি। কোরআনকে হৃদয়ে ধারণ করার পাশাপাশি যাঁর কারণে কোরআন পেয়েছি সেই নবীজির ভালোবাসা অন্তরে ধারণ করার শিক্ষা রয়েছে খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর রাসূলনোমা তরিক্বতে। কোরআন সুন্নাহভিত্তিক এ তরিক্বত প্রতিষ্ঠিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বায়েদের উপর। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা হতে চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক খতমে কোরআন মাহফিলে মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।
খতমে কোরআন মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।