‘আধ্যাত্মিকতা ও রূহানিয়ত বিকাশে অনন্য খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত গাউছুল আজম’

রাউজানে মুনিরীয়া যুব তবলীগের ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল

| শনিবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

রাসূলুল্লাহ (.) এর সুমহান আদর্শে জীবন গঠন করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। প্রিয় রাসূল (.) এর মুহাব্বত হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর সুন্নাত অনুসারে জীবন পরিচালিত করলে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আন্‌হু সারা জীবন মানুষকে আল্লাহ ও রাসূল (.) এর পথে আহ্বান করেছেন। কুরআন ও সুন্নাহর নিরিখে জীবন গঠনের মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে হুজুর পাক (.) এর বাতেনি নূর প্রদান করে অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি করেছেন।

ফয়েজে কুরআনের মাধ্যমে কুরআনের নূর বিতরণ করে সমাজকে হেদায়তের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। যুব সমাজকে সুন্নাতে মোস্তফার অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েবের মাধ্যমে মহিলাদের পর্দার ভিতর থেকে দ্বীন পালনের সুব্যবস্থা করে গিয়েছেন। দ্বীন ইসলামের খেদমতের জন্যে প্রধান পৃষ্ঠপোষকতার ভূমিকা পালন করেছেন কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.. মাদরাসার এবং তরিক্বত চর্চার জন্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ যুব সমাজের মাঝে ইসলামি আধ্যাত্মিকতা ও রূহানিয়তের বিকাশের মাধ্যমে মাতৃভূমিকে শান্তির কাননে রূপান্তর করেছেন, মাশাআল্লাহ।

গতকাল শুক্রবার বাদে আসর হতে চট্টগ্রাম রাউজান উত্তর গুজরা আধার মানিক আয়শা বিবির বাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ময়দানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ, ২০৩ নং আয়শা বিবির বাড়ী শাখার উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মিল্লাতের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ফয়সাল, মাওলানা মুহাম্মদ সায়েম।

মিলাদকিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে সোপান সংঘের সভা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার ভার্সিটিতে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্ট ভেন্যু গড়ে তোলার প্রস্তাব