প্রিয় রাসূল (দ.) এর ভালোবাসায় যুগে যুগে যারা ইতিহাসে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন তাঁরা কালের বুকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধারণ করে চিরধন্য হয়েছেন। সময়ের পরিক্রমায় এমন একজন কালজয়ী ব্যক্তিত্ব হলেন খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। নবীজি (দ.) এর অনুসরণ ও অনুকরণে তিনি যেমন অনবদ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তেমনি স্বীয় অনুসারীদেরকেও পবিত্র কোরআন–সুন্নাহ ও নবীজি (দ.) এর ভালোবাসার তালিম দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আধুুনিকতার ভয়াল স্রোতে হারিয়ে যাওয়া যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন অভূতপূর্ব রূহানী জাগরণ। হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বতে রয়েছে প্রতিদিন মুহাব্বতের নিয়তে এগারোশত এগারো বার দরূদে মোস্তফা, ফয়েজে কোরআন, মোরাকাবা, জিকিরে জলী ও জিকিরে খফির অনুশীলন। শুধু তাই নয় আরো রয়েছে তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে প্রিয় রাসূল (দ.) নূরে বাতেন ক্বলবে নেওয়ার ঐশী ব্যবস্থা। যে নূর পুরুষ তরিক্বতপন্থীরা তাওয়াজ্জুহ বিল হাজেরের মাধ্যমে দরবারে এসে গ্রহণ করতে পারে। মহিলার নিজ নিজ ঘরে বসে তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েবের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারে, তাই কোনো মহিলাকে দরবারে আসতে হয় না। আধুনিক যুগে এর চেয়ে বিজ্ঞানময় ও বাস্তবসম্মত তরিক্বত সত্যিই বিরল। যেখানে নেই শরীয়তের বিন্দু পরিমাণ লঙ্ঘন ও সুন্নাতে মোস্তফার সামান্য ঘাটতি। খলিফায়ে রাসূল (দ.) এর এ এক মহান ও মকবুল তরিক্বত যেখানে এসে নসিব হয় মহান রবের নৈকট্য ও প্রিয় রাসূল (দ.) এর সান্নিধ্য যা একজন সাধারণ মানুষকে মুমিনে কামেলে রূপান্তরিত করে। আধ্যাত্মিকতার পুনর্জাগরণের কিংবদন্তি হযরত গাউছুল আজম (রা.)।
গতকাল সোমবার নগরীর লালদীঘি ময়দানে পবিত্র জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন ও খলিলুল্লাহ্, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্মরণে ঐতিহাসিক গাউছুল আজম কনফারেন্সে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবারের মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী প্রধান মেহমানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চবি সিনেট সদস্য ও সংগঠনের মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে গাউছুল আজম কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজি ও চবি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ রফিক উদ্দিন সিদ্দিকী। বক্তব্য দেন, কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ রকিব উদ্দিন ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল।
মিলাদ–কিয়াম শেষে প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি–সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












