চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস–চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুক্তচিন্তা বিকাশের ক্ষেত্র। বিদ্যা চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়। এসব গবেষণালব্দ জ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সম্পদে পরিণত হয়। আধুনিক জ্ঞান–বিজ্ঞানের চর্চার মধ্যে দিয়ে এই দেশ এবং জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। একইসাথে, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে কর্মক্ষেত্র উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক কোর্সের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবি। এতে নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী হামিম ইকবাল শামীম ও মনীষা বড়ুয়া এবং ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত বণিক ও নাফিসা সাদাফ হৃদিতা। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মারুফ আহমেদ, সুরাইয়া হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আল মামুনুল আনসারী। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম। সঞ্চালনা করেন উপ–পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও ইইই বিভাগের প্রভাষক আজমল আহমেদ। কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী নুরুল্লাহ।