এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত চট্টল দরদী, আধুনিক চট্টলার স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার। তিনি আজীবন চট্টগ্রামবাসীর সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন মুজিব সেনা চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজিত সাবেক মেয়র, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা ধরে রাখতে তিনি কর্ণফুলী নদীর উপর কংক্রিটের সেতুর পরিবর্তে ঝুলন্ত সেতুর পক্ষে ছিলেন। তাঁর এই দাবিকে তৎকালীন সরকার অগ্রাহ্য করায় তার মাসুল আজ চট্টগ্রামবাসী দিচ্ছে। তিনি কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ ও নগরীর উপকূলীয় অঞ্চলে আরো একটি বন্দর নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন। যা আজ বঙ্গবন্ধু টানেল ও বে-টার্মিনাল হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। মহিউদ্দিন চৌধুরী ১/১১ এর কঠিন দুঃসময়ে আপোষ প্রস্তাব দৃঢ়চিত্তে প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রকৃত অর্থেই তিনি চট্টগ্রামের একজন অভিভাবক ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুজিব সেনা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি মাহাবুব আলম আজাদ। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবলীগ সদস্য মাহবুবুর রহমান মাহফুজ, মাইনুল ইসলাম, মুজিব সেনার গোলাম মোস্তফা মোস্তাক, ফসিউল আলম সমীর, সাদেকুর রহমান সাদেক, ইসমাইল আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম, ইমরান মাহমুদ, আলমগীর বাদশা, হাসনাতুজ্জামান হাসনাত, জাহিদুল ইসলাম রায়সুল, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, ডা. আব্দুল মান্নান, লিটন দেবনাথ লিখন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।