নারায়ণগঞ্জে আদালতের এজলাসের প্রবেশ মুখে আইনজীবীদের মারধরের শিকার হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সোমবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তাকে তোলা হয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান। তিনি বলেন, হত্যা মামলাটিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর বিডিনিউজের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, দুপুরে আদালতে তোলার সময় বাইরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আনিসুল হকের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দেন। শুনানি শেষে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় প্রবেশ মুখে তাকে চড়–থাপ্পড় দেন আইনজীবীরা। এ সময় আনিসুল হকের মাথায় পুলিশের হেলমেট ছিল।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সাবেক এ আইনমন্ত্রীকে নিয়ে দৌড়ে আদালতের বারান্দা ত্যাগ করেন এবং একইভাবে তাকে দ্রুততার সঙ্গে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। প্রিজন ভ্যানে থাকা অবস্থায়ও বাইরে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, আনিসুল হকের ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। শুনানির আগে ও পরে বিএনপির মিছিলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধানকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ফাঁসির দাবিতে আমরা মিছিল করেছি; কিন্তু চড়–থাপ্পড় দিছে জনগণ। আইনজীবীরা কেন মারবে? তাদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আছে, সেই ক্ষোভ থেকে জনগণ তাকে মারধর করছে।