আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র মামলা

| সোমবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল রোববার বিকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে উপস্থিত হন জয়। জবানবন্দি দিয়ে তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। খবর বিডিনিউজের।
জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় দায়ের করা এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে মোট দশজনের
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু জানান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে আরও ছিলেন আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং আবু সাইদ সাগর। মামলার পাঁচ আসামিই পলাতক থাকায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে কেউ জেরা করেননি।
মামলার পাঁচ আসামি হলেন যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টএমন্ট অব জাস্টিস থেকে ফোন পাওয়ার কথা সজীব ওয়াজেদ জয় তার সাক্ষ্যে বলেছেন। তিনি বলেন, এফবিআইয়ের দুই কর্মকর্তা তার সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় তিনি সেখানে যান। এফবিআই কর্মকর্তা জানতে চান রিজভী আহমেদ সিজার এবং মাহমুদউল্লাহ নামের কাউকে তিনি চেনেন কিনা? জয় বলেন, তিনি চেনেন না। পরে তারা প্রশ্ন করেন, শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান নামের কাউকে চেনেন কিনা। সজীব ওয়াজেদ জয় উত্তরে বলেন, তাদের ব্যক্তিগতভাবে না চিনলেও নাম জানেন। তখন এফবিআইয়ের একজন কর্মকর্তা তাকে বলেন, তারা একজনকে আটক করেছেন, তিনি এফবিআই এজেন্ট রর্বাট লাস্টিক। তিনি রিজভী আহমেদ সিজার গংদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ নিয়েছেন টাইম টু টাইম সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য, তার অবস্থান জানানোর জন্য এবং প্রতিমাসে আরো ৩০ হাজার ডলার পাবেন বলে সিজারদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।’
জয়ের জবানবন্দির বরাতে নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, ‘সিজারকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার করার পর তিনি এফবিআইকে বলেন যে জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য তারা নিচ্ছেন জয়কে অপহরণ করে হত্যা করার জন্য। পরে এফবিআই জানায়, সিজারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং জয়কে সেখানে সাক্ষ্য দিতে হবে। তখন জয় তাদের বলেন, তিনি যা জানেন, সেটা আদালতে বলবেন। পরে জয় মার্কিন আদালতে সাক্ষ্য দেন, সেখানে সিজারদের সাজা হয়।’
জয় আদালতে বলেন, ‘এর আগেও এফবিআই আমাকে সতক্‌র্ করে দিয়ে বলেছিল যে আমার জীবনের উপরে যে কোনো সময় আঘাত আসতে পারে, সতর্ক থাকতে হবে। তারা বাসার সামনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরমাশ্‌র্ দেয়। তারা বলে, যে কোনো বিপদ দেখলে যেন তাদের জানাই। আমি বাসার সামনে অনেক অপরিচিত, অচেনা লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। পরে আমি বাসা পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যাই।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধথেমে গেল আকবরের জীবনের গান
পরবর্তী নিবন্ধতিন মাসে বাড়ল নয় হাজার কোটি টাকা