মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে আজ রোববার (১০ অক্টোবর) আদালতে গেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। কিন্তু সেখানে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।
রোববার (১০ অক্টোবর) পরীমণির হাজিরার দিন ধার্য ছিল। আদালত থেকে দুপুর ১২টায় সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও দুপুর ১টায়ও পরীমণি হাজির হতে পারেননি। আর তাই পরবর্তী শুনানির জন্য দুপুর আড়াইটায় নতুন সময় ধার্য করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘সকাল ১০টায় হাজিরার কথা। কিন্তু তার জন্য সময় ১২টায় দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তিনি আদালতে হাজির হতে না পারাটা খুব দুঃখজনক। এখন দুপুর ১টা বাজে। এভাবে এলে তো চলবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান।’
অন্যদিকে পরীর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, স্যার আসামি পরীমণি রাস্তায় আছেন। একটু সময় দেন তিনি আদালতে এসে পৌঁছাবেন। এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুপুর আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত এই নায়িকার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।
এরপর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুই দিন ও তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। সিনেমার কাজে নিয়মিত হচ্ছেন। নতুন সিনেমাতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।