আদালতে আত্মসমর্পণের পর মিনুকে কারাগারে প্রেরণ

স্বামী থাকার পরও বিয়ে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

প্রতারণার উদ্দেশ্যে একাধিক বিয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত মিনু আক্তার প্রকাশ নাছমিন আক্তার সিমু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার দেড় মাস পর গতকাল বুধবার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে মিনু আত্মসমর্পণ করেন। মিনু রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানার মারিশ্যা এলাকার আলী আহমদের মেয়ে। থাকতেন ঢাকার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায়।
জানা যায়, একাধিক নাম ব্যবহারকারী মিনুর জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে ৩টি। সিম কার্ড রয়েছে ১০ থেকে ১২টি। একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি। মোটা অংকের দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে করে চলেন। ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন টাকা। এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন বায়েজিদের রুবি গেইটের বাসিন্দা ও প্রবাসী মো. ইমাম হোসেন (৩৮)। ইমাম হোসেনের সঙ্গে বিয়ে বলবৎ থাকার পরও আরেক বিয়েতে জড়ান মিনু। এ ঘটনায় গত ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে মিনুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ইমাম হোসেন। অভিযুক্ত বাকি দুজন হলেন মোস্তফা জামিল ও রাশেদ। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করেন এবং বায়েজিদ থানাকে তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
প্রবাসী ইমাম হোসেনের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বলেন, আমার মক্কেলসহ মিনু এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছে। মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার একমাত্র উদ্দেশ্য। যাই হোক তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৮ মাস পর সর্বনিম্ন শনাক্ত ১৭
পরবর্তী নিবন্ধহিজড়ার চুরি হওয়া ২ লাখ টাকা উদ্ধার প্রেমিক আটক