আদালতের সাথে প্রতারণার অভিযোগে মুহাম্মদ নুরুল আলম সিদ্দিকী নামের এক ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে (বরখাস্তকৃত) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠান।
দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মোহাম্মদ নুরুল আলম সিদ্দিকী বাঁশখালীর কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। শাহেদুল ইসলাম নামের একজনের কাছ থেকে নামজারির জন্য তিনি ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। শাহেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষ থেকে নুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। পিপি বলেন, দুদকের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নুরুল আলম চট্টগ্রাম আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তখন বিচারক তার আবেদনটি নাকচ করে দিলে তিনি উচ্চ আদালতে যান এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তখন জামিনের বিরোধিতা করা হলে উচ্চ আদালত কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল ইস্যু করেন এবং একটি তারিখ নির্ধারণ করেন। অন্যদিকে নুরুল আলম উচ্চ আদালতের রুল ইস্যুর বিষয়টি গোপন রেখে এবং নির্ধারিত তারিখের আগেই প্রতারণার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফের জামিন চেয়ে আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়। পিপি বলেন, পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে নুরুল আলমের জামিন বিষয়ে ইস্যুকৃত রুলটি ডিসচার্জ হলে গত সপ্তাহে সেটির কাগজপত্র আমাদের আদালতে এসে পৌঁছায়। তখন আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি উচ্চ আদালতের রুল ইস্যুর বিষয়টি গোপন করে নুরুল আলম নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। একপর্যায়ে আদালতের পক্ষ থেকে তাকে শোকজ করা হলে তিনি আজকে (গতকাল) হাজির হয়ে মৌখিক জবাব দিয়েছেন। জবাব সন্তুষ্ট মনে না হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত আদালতের সাথে প্রতারণার দায়েই তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।
জানা যায়, মোহাম্মদ নুরুল আলম সিদ্দিকী বাঁশখালীর কাতারিয়া এলাকার মৃত তজর আলির ছেলে।