আদালতের রায়ে নির্বাচন করা হচ্ছে না দিদার-বাবলুর

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ at ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। নির্বাচনী উত্তপে পুড়ছিল চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। আর সে নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মাদারবাড়ি মুক্তকন্ঠ ক্লাবের প্রতিনিধি দিদারুল আলম চৌধুরী এবং এম এ মুছা বাবলু। যেখানে দিদারুল আলম চৌধুরী সহ সভাপতি পদে আর মুছা বাবলু নির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন। অবশ্য এই ক্লাবটির প্রতিনিধি নিয়ে আইনি জটিলতা ছিল। একটি পক্ষ মামলা করে ক্লাবের তিন প্রতিনিধির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ফলে প্রথমে ভোটার তালিকায় তাদের নাম উঠানো হয়নি। পরবর্তীতে অপর পক্ষ আরেকটি কোর্টে গিয়ে আগের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে। ফলে ভোটার তালিকায় মুক্তকন্ঠ ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে দিদারুল আলম চৌধুরী, এম এ মুছা বাবলু এবং আশরাফুজ্জামানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে হিসেবে ঐ ক্লাবের দুজন দিদারুল আলম চৌধুরী সহ সভাপতি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করে জমা দেন। আর মুছা বাবলু নির্বাহী সদস্য পদে মনোনয়ন জমাদেন। তাদের মনোনয়ন বৈধও হয়। দুজন নির্বাচনী প্রচারণাও চালান। আর একদিন পর নির্বাচন। তার ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার হারুন অর রশিদ গং এর আপিলের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মামনুন রহমান গত ৯ নভেম্বর অতিরিক্ত জেলা জজ চট্টগ্রাম কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের উপর স্থগিতাদশে প্রদান করে। ফলে আগের রায় বহাল থাকে ক্লাবের তিনজন প্রতিনিধির উপর। গতকাল প্রদত্ত রায়ে বলা হয়েছে এই তিনজনের যে দুজন জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা আর অংশ নিতে পারবে না। ফলে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল দিদার এবং বাবলুর। নির্বাচনের একদিন আগেই তাদের নির্বাচান করার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। এই রায়ের ফলে দিদারুল আলম চৌধুরী প্রার্থী হিসেবে বাদ পড়ায় সহ সভাপতি পদে এখন প্রার্থী দাড়িয়েছে নয় জনে। আর নির্বাহি সদস্য পদে প্রার্থী আছে এখন ২৭ জন। আগামীকাল যেহেতু নির্বাচন সেহেতু তার আগে আর কোন কিছু করার থাকছে না দিদারবাবলুদের। আজ এবং আগামীকাল শনিবার আদালত বন্ধ। ফলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এবারের সিজেকেএস নির্বাচন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনেক পুরুষ প্রার্থীর ভিড়ে একমাত্র নারী রিমা
পরবর্তী নিবন্ধবুথে মোবাইল কিংবা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নেওয়া নিষিদ্ধ