নৈতিক সমাজ ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে যুগে যুগে সূফিয়ায়ে কেরামগণ অপরিসীম ভূমিকা রেখে গেছেন। আত্মশুদ্ধি, মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও ন্যায়বোধের শিক্ষা দিয়ে তাঁরা সমাজকে আলোকিত করেছেন। ক্ষমতা কিংবা লোভের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সূফিগণ মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান করতে শিখিয়েছেন এবং অন্যায়, জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নৈতিক প্রতিবাদের পথ দেখিয়েছেন। তাঁদের খানকাহ ও দরবার ছিল মানবিক শিক্ষা ও সামাজিক সংস্কারের কেন্দ্র। সূফিয়ায়ে কেরামগণের আদর্শ অনুসরণ করেই গড়ে উঠতে পারে একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবকল্যাণমুখী সমাজ ও রাষ্ট্র।
বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৯৭তম খোশরোজ শরীফ উদযাপন ও বিশেষ কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সুফিয়ায়ে কেরামগণের অবদান শীর্ষক সেমিনার গোপালঘাটা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশেকানে গাউসিয়া হক ভাণ্ডারী গোপালঘাটা শাখা আয়োজিত সেমিনারে শেখ মুহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ.ওয়াই.এমডি জাফর। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কনসালটেন্ট ডা. জয়নাল আবেদীন মুহুরী। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক এড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইকবাল, এমফিল গবেষক আকিব উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই, আবুল কালাম ভাণ্ডারী, মাওলানা কামরুজ্জামান নেজামী, ইফতেহার উদ্দীন মুরাদ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাস্টার নুরুল হুদা, মাস্টার মো. জসিম, শাহজাদা সৈয়দ ইকবাল শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, মাওলানা ফজলুল বারী, মাহবুল আলম, হাজী ইউনুস, মাওলানা রাশেদুল আলম, মাওলানা শফিউল আলম সাকিব, মাওলানা হান্নান উদ্দীন রাসেল, মোহাম্মদ আমির হোসেন, নুরুল আবছার খালেদ, মোহাম্মদ আলমগীর, আলী হোসেন, জয়নাল আবেদীন সৌরভ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












