আত্ম অহংকার তার সকল প্রতিভা ও অর্জনকে কলুষিত করে

সুমি দাশ | রবিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২১ at ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছ যাঁরা নিজ প্রতিভা গুণে অনেক নাম, যশ, খ্যাতি অর্জন করেছেন। যদিও চেষ্টা ও একাগ্রতা ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। অনেকে আবার তার এইসব অর্জনে নিজের কাছে নিজের দাম টা অতিমাত্রায় বাড়িয়ে ফেলে। সে নিজেকে এতটাই বড় মনে করে, যেন অন্যরা তার কাছে চুনোপুঁটি মাত্র। এটা তার অহমিকা মাত্র। মানুষের একটি মারাত্মক ব্যাধি হলো এই “অহমবোধ “। এটি শুধুমাত্র তার চারিত্রিক নয়, মানসিক রোগও বলা যায়। সমাজে এইসব লোকেরা প্রতিনিয়ত চরম ঘৃণিত ও লাঞ্ছিত। এরা নিজের গুণ সম্বন্ধে অতিরঞ্জিত ধারণ পোষণ করে ও নিজেই নিজের প্রতি মুগ্ধ থাকে, আবার কাউকে অতটা গুরুত্ব দিতে চায় না।সব ক্ষেত্রেই তারা নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। বলা যেতে পারে, কারো প্রতি ভদ্রতা ও ভালোবাসার অতিমাত্রায় যদি তার অহংকার বেড়ে যায়, তাহলে তার কথিত প্রতিভা অর্জন গুলো ক্রমশ ভেস্তে যায়। নিজেই ছোট হয়ে যায় সবার কাছে। তার ভিতর আমিত্ব ভাব এতটাই বেশি, যেন আমিই সব জান্তা। তখন সে নিজের কথা,কাজ ও কৌশলকে নিখুঁত, নির্ভেজাল ও সর্বোত্তম ভাবতে শুরু করে। সৃষ্টিকর্তা অনেককে যশ-খ্যাতি, সম্মান, অর্থসম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, বিদ্যাবুদ্ধি ইত্যাদি দিয়ে সফলতার চূড়া স্পর্শ করার সৌভাগ্য দান করেছেন। একসময় দেখা যায়, সে তার সফলতার অহংকারে মানুষকে কেবল ছোট বা তুচ্ছ করার অভ্যাসে লিপ্ত হয়েছে।
এতে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতে ধীরে ধীরে তার পতন ঘটে। মনে রাখা উচিত, ‘অহংকার পতনের মূল’। তাই সবার উচিত অতি গৌরব, অহংকার ও দাম্ভিকতা থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং অন্য কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও ছোট করে না দেখে একজন মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা। সে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী কিংবা গরীব হোক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেদনার ভায়োলিন
পরবর্তী নিবন্ধজ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জ্বালায় জ্বলবে জনগণ