আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণ

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে

| বৃহস্পতিবার , ২ মার্চ, ২০২৩ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিন পুলিশের (সিএমপি) উদ্যোগে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান গতকাল বুধবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মাল্টিপারপাস শেডে অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে তাঁদের স্মৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সিএমপি কমিশনার, ডিআইজি, জেলা এসপি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব, রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, এপিবিএন, আরআরএফ, নৌ পুলিশ ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালনসহ নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ওয়েল ফেয়ার এন্ড ফোর্স) মো. মহিতুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক ও জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফি উল্লাহ। স্মৃতিচারণ করেন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর অনিতা রানী রায়ের মেয়ে অর্পিতা রায় চৌধুরী ও কনস্টেবল অভি দাশের মা রুমি দাশ। সভায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মাঝে সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। মেয়র বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদার বাহিনী যখন দামপাড়া ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করে তখন তাদের প্রতিরোধ করতে পুলিশ বাহিনী প্রথম অস্ত্র ধরেছিল। সে সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী পাক সেনাদের হাতে অনেক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তাই পুলিশ বাহিনীর আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে হাজার মায়ের অশ্রু, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে গড়া এ বাংলাদেশ। তিনি বলেন,সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। দেশকে রক্ষা করতে না পারলে আমাদেরকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে হবে। তাই এ দেশকে ভালোবাসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোভিডকালীন দেশের ক্রান্তিলগ্নে যখন পরিবারের কোন সদস্য কেউ কারও পাশে ছিল না তখন পুলিশ বাহিনী জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে লাশ কাঁেধ নিয়েছে, জাতির দুঃসময়ে তারা তাদের দায়িত্বে একটুও অবহেলা করেনি। এসময় কোভিডে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোক মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু তাদের অবদানের কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ এখন মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ
পরবর্তী নিবন্ধটিভি ফিকশন ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট