আত্মহত্যা নয় বরং আত্মত্যাগের মনমানসিকতায় বাঁচুন

মুহাম্মদ বুরহান উদ্দিন ফাহিম | শুক্রবার , ৫ জুলাই, ২০২৪ at ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

অপেক্ষা করার ক্ষমতা হলো ধৈর্য্য। ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য মানসিক শক্তি প্রয়োজন। যা বেঁচে থাকার সাহস জোগায়, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। নতুন কিছু করার চিন্তাকে জাগিয়ে তুলে। কিন্তু দুনিয়ার দুঃশ্চিন্তায় এই শান্তিটাকে ধ্বংস করে দেয়। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও মাথায় ঘুড়ে বেড়ায় বাঝে চিন্তা। কোন কারণ ছাড়া ভাবতে ভাবতে সময়টা চলে যায়। এর মূল কারণ অন্তত বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট সাহসের অভাব। কোন ব্যক্তি নিজেই নিজের আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য। আর যেদিন আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে না ঠিক সেইদিন তার নিজের ক্ষতিটা নিজেই করবে। সে বুঝবে না কোনটি ঠিক আর কোনটি ভুল। নিজেকে শেষ করা মানেই সমস্যা সমাধান নয়। এতে নিজ পরিবারের প্রতি আশেপাশের মানুষদের ব্যবহার খুবই জগন্য ও কুরুচি হয়। ধর্মও আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না। মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করে, উভয় জগৎ হারাতে হয়। আত্মহত্যা নয় বরং আত্মত্যাগের মাধ্যমেই জীবনে বেঁচে থাকতে হবে। লড়াই করতে হবে,এই লড়ায়ে সৈনিক নিজেই। তবে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার মতো একজন বিশ্বস্ত মানুষ থাকা উচিত। নিজের সিদ্ধান্তহীনতা অনেক বড় ক্ষতির দিকে নিয়ে যায় জীবনকে। একটি ভালো ও সুন্দর মনের মানুষই বিষাদগ্রস্ত মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। সবার জীবনে এমন সুন্দর মনের মানুষ থাকা দরকার যাকে নির্দ্ধিধায় সব কিছুই বলা যায়,ভরসা করা যায়। ভুলগুলো সঠিকভাবে বুঝাতে সাহায্য করবে। কিন্তু তা অনেক ক্ষেত্রেই অবাস্তব ও অসম্ভব। যতটুকু সম্ভব নিজের ত্যাগ দিয়ে জীবনে চলতে হবে। সুন্দর মনমানসিকতা মানসিকভাবে তৃপ্তি দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্মরণে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধবৃষ্টি নেমেছে আমার শহরে