আত্মহত্যার মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা যেন ক্রমেই বাড়ছে। হতাশা, বেকারত্ব, মনোমালিন্য, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ইত্যাদির কারণে অসংখ্য মানুষ বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পাওয়া, এসএসসি–এইচএসসি পরীক্ষায় পাস না করা মানেই আত্মহত্যা করতে হবে– ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবারের মানসিক সাপোর্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলা, হতাশার সময়ে তাকে সাহস জোগানো, তাকে সান্ত্বনা দেওয়া, সর্বোপরি একজন মানুষের মধ্যে বাঁচার ইচ্ছা জাগিয়ে রাখতে আমাদেরকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। যখন একজন হতাশ ব্যক্তি কারো সহানুভূতি পায় না তখন সে মনে করে মরে যাওয়াটাই তার জন্য ভালো হবে। তাই আমাদেরকে পরিবারের সদস্য, বন্ধু–বান্ধব, পাড়া–প্রতিবেশী, আত্মীয়–স্বজন সবার প্রতি সদা সচেতন থেকে আত্মহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আত্মহত্যার এই মহামারির অবসান হবে।
জোবাইদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।