দেশের বহুল আলোচিত, টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রথম দফায় আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ২টি মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বুধবার। উখিয়া ও টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাইসহ ৮ জন নিকটাত্মীয় রয়েছেন এ মামলায়। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল দুপুর ১২টার দিকে মামলা দুটির রায় ঘোষণা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ও গডফাদার। এসময় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড গুলি জমা দেন। এরপর ১০২ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে টেকনাফ মডেল থানায় তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর সব আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল নামের এক আসামির মৃত্যু হয়।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্ন ফারাহ এর আদালত ১০১ আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা এর সাক্ষ্য প্রদানের মধ্যদিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এরপর গত ১৪ নভেম্বর আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী ও যুক্তি-তর্ক শেষে আজ ২৩ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। এ মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এ মামলায় ১৭ আসামি কারাগারে থাকলেও জামিন নিয়ে পলাতক হয়ে যান ৮৪ জন। পলাতকদের মধ্যে মোহাম্মদ হোছাইন নামের একজন আসামি অপর একটি মামলায় টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। তবে বাকি ৮৩ আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, ২৩ নভেম্বর (আজ) মামলার রায় ঘোষণার ধার্য্য দিনে কারাগারে থাকা আসামিকেও আদালতে হাজির করা হবে।