প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো মহাত্মাদের আত্মার আত্মসংলাপ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘মহাত্মা সম্মেলন–২০২৪’। চট্টগ্রাম দরবার শরীফের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মহাত্মা সম্মেলনের উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন আল্লামা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহের (মাজিআ) সভাপতিত্বে সম্মেলনের মূল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাইজভান্ডারস্থ গাউছিয়া আমিন মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন শাহছুফী ছৈয়দ ওসমান কাদের পিন্টু মিয়া মাইজভান্ডারী। বিকেলে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে অতিথিবৃন্দ ২১তম মহাত্মা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু হলে আলোচনা সভা ও ১২তম এনোবল এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এবার শিক্ষাবিদ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবায় সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে বোধন আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম দোভাষ, চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার, ছুফি সাধনা কুমিল্লা রাজাপরু দরবারের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি ছৈয়দ দলিলুর রহমান রাজাপুরী, লেখক ও গবেষণায় হাকিম মাওলানা মুহম্মদ ইকবাল ইউসুফ, আলেমে তরিকতে মাইজভান্ডার রহমানিয়া মঈনীয়া দরসে নেজামী মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গোলামা মুহাম্মদ গোলাম সিরাজী, ছুফি শিল্পী হিসেবে বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী সংঙ্গীত শিল্পী আব্দুল মান্নান কাওয়াল, ছুফি গীতিকার ও সুরকার হিসেবে আবু তাহের চিশতীকে রাহে ভান্ডার এনোবল এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। মহাত্মা সম্মেলন উদযাপন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন শাহজাদা সৈয়দ গোলাম মোর্শেদ মাইজভান্ডারী, শাহজাদা সৈয়দ নুর হোসাইন মাইজভান্ডারী, শাহজাদা সৈয়দ নজিবুল্লাহ মাইজভান্ডারী, শাহজাদা সৈয়দ মারুফ বিন কাদের মাইজভান্ডারী। অতিথি ছিলেন পীরশাহজাদা সৈয়দ নঈমুল কুদ্দুছ আকবরী, শাহসুফী ছৈয়দ আখতার কামাল শাহ, ছৈয়দ নজরুল ইসলাম খিতাপচরী, ছৈয়দ মোফাক্কেরুল ইসলাম মির্জাপুরী, ছৈয়দ গোলাম মওলা, ছৈয়দ ফরিদুল আনোয়ার, ছৈয়দ ফোরকানুল হক আমিরী, কলামিস্ট ও লেখক অধ্যাপক ড. মাসুম চৌধুরী। মহাত্মা সম্মেলন উদযাপন পরিষদের মহাসচিব শাহজাদা সাইফুল আলম নাইডুর সঞ্চালনায় এতে বক্তারা বলেন, মানুষের মন্দ স্বভাবগুলোর অন্যতম হলো অন্যের সমালোচনা করা। কে কোথায় কী করল, সেই চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থেকে অনেকে দিনের একটি বড় অংশ ব্যয় করে। অথচ অন্যের সমালোচনা গর্হিত কাজ। তাই নিজে নিজের সমালোচনা করতে হবে। তবেই সে নিজের আত্মাকে সংশোধন ও পরিশুদ্ধ করে মহাত্মা হতে পারবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।