বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি মানেই সবুজের জমিনে লালের ছোঁয়া। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতেও সেই লাল আর সবুজ আছে বরাবরের মতোই। তবে চেনা দুই রঙও এবার একটু ভিন্ন রূপে। সবুজ রঙটা একটু বেশিই যেন গাঢ়। লালটুকু আরও বেশি টকটকে। জার্সিতে এবার ভিন্নতা আছে আরও বেশ কিছু। রঙ আর বর্ণের ছটায় এই জার্সিতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়। বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীনের আশা, জার্সির সেই মূলভাব ফুটে উঠবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সেও। যে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আগেই বাংলাদেশ দলের জার্সি নিয়ে বেশ শোরগোল ওঠে সামাজিক মাধ্যমে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে গত রোববার বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আকর্ষণীয় একটি ভিডিওতে। এবারও জার্সি নিয়ে বেশ আলোড়ন পড়ে গেছে।
তবে জার্সির ডিজাইনের মতো গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রেও এবার পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বেশির ভাগ সময় জার্সি নিয়ে নেতিবাচক আলোচনাই বেশি থাকে সামাজিক মাধ্যমে। এবারের জার্সি প্রশংসাই আদায় করে নিচ্ছে বেশি। বিসিবিতে গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন তুলে ধরলেন জার্সির ডিজাইনের পেছনের ভাবনা। তার আশা, জার্সিতে মিশে থাকা স্পিরিট বাংলাদেশ দলকে উজ্জীবিত করবে মাঠের ক্রিকেটে। জার্সির মূল যে ব্যাপারটা সবসময় হয়ে আসছে, লাল ও সবুজের সমন্বয়। যেটা আমাদের জাতীয় পতাকা, আমাদের অস্তিত্ব। সেটার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে এবারে। লাল রংটা একটু গাঢ় করা হয়েছে। আমার মনে হয় এটা খুব আকর্ষণীয় একটা রং হয়েছে। সবুজটাও আরেকটু গাঢ় হয়েছে। এর পাশাপাশি বাঘকে কিছু লতা–পাতার মধ্য দিয়ে একটা গোল্ডেন ভাইব তৈরি করা হয়েছে সেখানে। সব কিছু মিলিয়ে একটা কালারফুল ব্যাপার তো আছেই। এর সঙ্গে একটা আত্মবিশ্বাস, আস্থা, নির্ভরতা, সব কিছুই যেন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জার্সিতে। যেটা আমরা দেখতে চাই আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। সেটাই এখানে দেখাতে চেয়েছি আমরা। আশা করি এটা পরে তারা যখন খেলবে, তারাও সেই অনুভূতিটা পাবে এবং সামগ্রিকভাবে এটা আমাদের চোখে লাগবে। দুবাইয়ে সোমবার পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি অবশ্য অনুশীলনের পোশাকে খেলেছে বাংলাদেশ দল। নতুন জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার।