অপেক্ষা করার ক্ষমতা হলো ধৈর্য্য। ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য মানসিক শক্তি প্রয়োজন। যা বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জোগায় সাথে নতুন কিছু করার চিন্তাকে জাগিয়ে তোলে। কিন্তু রাজ্যের দুশ্চিন্তা মনের শান্তি নষ্ট করে দেয়। কোনো কারণ ছাড়াই ভাবতে ভাবতে সময়টা চলে যায়। আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের অতি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখা উচিত। অতি আবেগ যেইদিন আর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না ঠিক সেইদিন মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ক্ষতিটা করবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণবিহীন হয়ে গেলে তার মধ্যে তখন সঠিক-ভুল বিচারের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।
একটা ব্যাপার বলতে চাই, নিজেকে শেষ করা মানে সমস্যার সমাধান নয়। আপনার মৃত্যুর জন্য কারও কিছু থেমে থাকবে না। শুধু আপনিই হারিয়ে যাবেন। যেই বিষয়ের জন্য নিজের অমূল্য জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন, দেখা যাবে আপনার অনুপস্থিতিতে সেই বিষয়েরও কোনো আমুল পরিবর্তন আসবে না। বরং সমাজে আত্মহত্যাকারীর পরিবারের প্রতি অন্যান্য মানুষদের ব্যবহার খুবই জঘণ্য ও কুরুচি হয়ে উঠে দিনদিন। এমনকি ধর্মও আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না। মৃত্যুর পর কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করে। উভয় জগৎ হারাতে হয়। আত্মহত্যা নয় বরং আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমাদেরকে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে বের করতে হবে, লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে সৈনিক আপনি নিজেই। তবে একটি বিষয় না বললেই নয়, যদি একজনের সুপরামর্শদাতা থাকে, সে জীবন যুদ্ধে অনেক সাহায্য পায়। তার কণ্টকময় জীবন অনেকটা সহজ হয়ে যায়। একটি ভালো ও সুন্দর প্রাণই তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক ভূমিকা রাখে। এমন মানুষগুলো আপনার ভুলগুলো শুধরে আপনাকে যুদ্ধে টিকে থাকতে সাহায্য করে। এমন মানুষ পাওয়া যদিও বেশ বিরল! তবে সবার ক্ষেত্রে এমনটা নয়। আমরা অনেকেই জীবনে এমন মানুষ পেয়ে যাই হয়তো সেটা সহজে বুঝতে সক্ষম হই না।
আমাদেরকেই সেটা বুঝে নিতে হয়। তাই যতটুকু পারা যায় নিজের ত্যাগের মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে চলতে হবে। আর আমরা আশাবাদী থাকবো সেই আত্মত্যাগ যেন আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। আল্লাহ্ উত্তম পরিকল্পনাকারী।