বিপিএলের কোন খেলা ছিলনা আজ রবিবার। তবে দলগুলোর অনুীশলন ছিল। সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন চলছিল ঢাকা দলের। মাশরাফি-মামহমুদউল্লাহরা অনুশীলনের শুরুতে ফুটবল খেলছিলেন আর নেটে ব্যাটিং করছিলেন তামিম ইকবাল এবং মোহাম্মদ শাহজাদ। দুপুর তখন ঠিক একটার কাছাকাছি। হঠাৎই মাঠ কর্মীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু করল।
মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোনায় হলুদ পতাকা টানিয়ে দেওয়া হলো। কারণ বুঝতে তখন আর বাকি নেই। মাঠে হেলিকপ্টার নামবে। একটু পােরই নামল হেলিকপ্টার। তবে সেটা যেখানে নিশানা উত্তোলন করা হয়েছিল সেখানে না নেমে স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে যেখানে ঢাকা দলেল ক্রিকেটাররা অনুশীলন করছিল সেখারেই নেমে পড়ল। প্রচণ্ড ধুলায় সাদা হয়ে গেল চারপাশ। ক্রিকেটাররা যে যার মত দৌঁড়ে নিজেদের রক্ষা করেন।
হেলিকপ্টার থামতেই স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের গেইট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করল একটি
অ্যাম্বুলেন্স। সেখান থেকে একজন রোগীকে তোলা হলো হেলিকপ্টারে। এরপর স্কয়ার হাসপাতালের হেলিকপ্টারটি আবার উড়াল দেয়।
মাঠে যখন হেলিকপ্টার নামে তখন ঢাকা দলের কয়েকজন কর্মকর্তা আপত্তি জানান। মাঠ কর্মীদের দেখা যায় হেলিকপ্টারের পাইলটের সাথে বাকবিতণ্ডা করতে। কেন সেখানে নামানো হলো হেলিকপ্টার। মাঠ কর্মীরা পতাকা উত্তোলন করে এবং হাতে ইশারা দিয়ে পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণের বারবার চেষ্টা করলেও সেটা বুঝতে পারেননি পাইলট।
ফলে ভুল জায়গায় তিনি হেলিকপ্টার নামিয়ে দেন। কথা ছিল হেলিকপ্টারটি নামবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন থেকে দূরে। যাতে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা না জাগে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহবুদ্দিন শামীম জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামার অনুমতি ছিলই। তবে পাইলট মাঠের ভুল জায়গায় নামায় অনুশীলনে এই বিপত্তি হয়েছে। সচরাচর মানবিক কারনে একজন রোগীর জীবন বাঁচাতে মাঠে হেলিকপ্টার নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, কয়দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন ফটিকছড়ির সায়েম চৌধুরী নামক এক যুবক। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। বগুড়া মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নি করছেন। দুর্ঘটনার পর তিনি চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে লাইফ সাপোর্টেও ছিলেন।
পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয় হেলিকপ্টার যোগে। এদিকে বিপিএলের ঢাকা দলের অনুশীলনে হঠাৎ হেলিকপ্টার নেমে আসায় তাদের অনুশীলনে বিঘ্ন ঘটলেও দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা ব্যাপারটিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই হয়তো দেখছেন। কারন হেলিকপ্টার যখন নামে তখন দলের কয়েকজন সদস্য ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেও মাশরাফিকে দেখা গেছে তাদের নিবৃত্ত করতে।
যেহেতু করোনাকালে ক্রিকেটারদের সুরক্ষিত রাখার সব ধরনের চেষ্টা করছে বিসিবি, সেখানে অনুশীলনে এ ধরনের হেলিকপ্টার নামাতে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিঘ্ন ঘঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।