‘কিশোর গ্যাং‘ নামটির সাথে বর্তমানে আমরা সকলেই পরিচিত, যে নামটি শুনামাত্রই আমরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে উঠি। আমাদের দেশের শিশু আইন অনুযায়ী যখন কেউ ১৮ বছরের কম বয়সে অপরাধে লিপ্ত হয় তখন তাকে কিশোর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কিশোর গ্যাং মানে হল, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের চুলের কাট, ভাবভঙ্গি চাল–চলন প্রায় সময় আক্রমণাত্মক, নেশা করা আরেকটু মতবিরোধ হলে অশ্লীল বাচনভঙ্গি, হামলা মারামারি শেষ পর্যায়ে গিয়ে খুন–হত্যা পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। এছাড়াও অপরাধমূলক নানাবিধ কর্মকাণ্ডে তো জড়িয়ে আছেই। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় দেখা গেলেও বর্তমানে সারা দেশের আনাচে–কানাচে বিস্তার লাভ করেছে এই সামাজিক ব্যাধি। যে–বয়সে শিশু–কিশোরদের হাতে বই–খাতা–কলম খেলাধুলা এগুলোর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকার কথা সেই বয়সেই তাদের হাতে ছুরি, অস্ত্র, নেশাজাতীয় দ্রব্য। দেশের সিংহভাগ ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদির সাথে কোন না কোন ভাবে কিশোর গ্যাং জড়িয়েই আছে। শিক্ষার অভাব, অসৎ সঙ্গ, অপসংস্কৃতির সাথে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা ইত্যাদি কিশোর গ্যাং সৃষ্টির অন্যতম কারণ। কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে সম্ভব হবে না, যতক্ষণ নিজ পরিবার হতে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের সবাই এ ব্যাপারে সর্বদা সজাগ ও সচেতন না হয় এবং আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।
কাজী মুহাম্মদ রোকনুজ্জামান,
চট্টগ্রাম