আটক বিল ছাড়ে হিসাবরক্ষকের জালিয়াতি, তারপর যা হলো

জেনারেল হাসপাতালের ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার কেনাকাটায় অনিয়ম

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ জুন, ২০২২ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আটটি আইসিইউ বেড ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় অনিয়মে দুদকের দায়ের করা একটি মামলা শুনানি পর্যায়ে আছে। মামলা থাকায় মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিলও আটকে আছে।

গতকাল মঙ্গলবার ভুয়া স্মারক নম্বর তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সবার অগোচরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে ওই বিল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকান। তবে শেষ পর্যন্ত জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ফোরকানকে আটক করে গতকাল বিকেলে পাঁচলাইশ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাত ৮টার দিকে তাকে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

সিএমপির দক্ষিণ জোনের এডিসি নোবেল চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে দৈনিক আজাদীকে বলেন, জালিয়াতির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে। ফোরকানকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যেহেতু এটা অর্থ আত্মসাতের বিষয় তাই মামলা দুদকে করতে হবে। সেজন্য জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের হেফাজতে দেয়া হয়।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, হাসপাতালের হিসাবরক্ষক একটি বিল ছাড় করানোর জন্য নিয়ে গেলে তা জাল প্রমাণিত হয়। এ কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনগত ব্যবস্থা নিতে। তাই হিসাব রক্ষককে তত্ত্বাবধায়কের হেফাজতে দেওয়া হয়।

৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার বিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে বলেন, আইসিইউ বেডের একটা বিল নিয়ে সমস্যা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের অফিস কোতোয়ালী থানায় তাই চলে আসি। কোতোয়ালী থানায় জিডি করব।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফোরকান বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে বিলটি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে যান।

এর কিছুক্ষণ পর ৫টা ১৪ মিনিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি ফোন আসে ওই কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে। ওই ফোনে জানানো হয়, জেনারেল হাসপাতালের একটি বিল ছাড় করানোর জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এরপর ফোরকানের নিয়ে আসা বিলটি পরীক্ষা করা হয় এবং ভুয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এরপর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বিকে ডেকে আনা হয়। তিনিও পরীক্ষা করে দেখেন বিলটিতে জালিয়াতি করা হয়েছে। এরপর পুলিশ ডাকা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশুর বর্জ্য ফেলতে দেয়া হবে এক লাখ পলিব্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক ছাত্রদল নেতা সাইফুলসহ গ্রেপ্তার ৫