একই আদালত থেকে জামিন প্রশ্নে দ্বিতীয়বার রুল নিয়ে ধরা খেলেন গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারী নূর মোহাম্মদ। দেশের কোনো আদালতে আগামী চার মাস তিনি জামিন চাইতে পারবেন না।
রোববার এই আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ। আদেশর আগে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক এম. ইনায়েতুর রহিম বলেন, জামিন প্রশ্নে একটি রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আরেকটি রুল হাসিল করা আদালতের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই আদালতের নজরে আসছে। এই বিষয়টি নজরে আনার পর দুটি রুলই খারিজ করে আদেশ দেন হাই কোর্ট। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি পরে সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় এর আগে হাই কোর্টে নূর মোহাম্মদের জামিন চেয়েছিলেন আইনজীবী ইফতাবুল কামাল। সে আবেদনের শুনানির পর গত বছর ১০ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করে যে কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গত ২১ জানুয়ারি রুলটি শুনানির জন্য ছিল। ওইদিনই এই নূর মোহাম্মদের আরেকটি জামিন আবেদন শুনানির কার্যতালিকায় আসে। সে আবেদনের আইনজীবী এ এস এম মুক্তার কবির খান। ওই আবেদনের শুনানির পর আদালত রুল জারি করেন।
গত বছর ২৬ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার জিপিও কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালায় ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার কর্মকর্তারা। সে অভিযানে গ্রাহকের প্রায় ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জিপিও সঞ্চয় শাখার পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সরওয়ার আলম খানকে আটক করা হয়। আটকের পর নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তাদের কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত বছর ২১ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম মোড়ল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। তদন্তে ২৫ কোটি ৩২ লাখ ৩১ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ উঠে এসেছে ডাক বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত এ দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
সেই মামলায় ১৭ নভেম্বর ওই আদালতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেদিন আসামিরা জামিন চাইলে তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে আদালত। এরপর ডিসেম্বর প্রথম হাই কোর্টে এসে জামিন আবেদন করেছিলেন নূর মোহাম্মদ।