আটকা পড়ল ১১৩ কন্টেনার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড

বন্দর থেকে পরিবহন না করার ঘোষণা অপারেটরদের ঝুঁকির মুখে চট্টগ্রামের ৪ আইসিডি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৯ জুন, ২০২২ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পরিবহন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তিনটি মেইন লাইন অপারেটর (এমএলও)সহ একাধিক শিপিং লাইন্স চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আর হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ভর্তি কন্টেনার পরিবহন না করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে করে দশ কোটিরও বেশি টাকা দামের ১১৩ কন্টেনার হাউড্রোজেন পারঅক্সাইড চট্টগ্রামের চারটি আইসিডিতে আটকা পড়েছে। একই সাথে উক্ত চারটি আইসিডিও পড়েছে ঝুঁকির মুখে। বিএম কন্টেনার ডিপোতে সংঘটিত বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জের ধরে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, গার্মেন্টস শিল্পের ওয়াশিং প্ল্যান্টসহ নানাখাতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়। দেশের বেশ কয়েকটি কারখানা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড উৎপাদন এবং বিপণন করে থাকে।

ভিয়েতনাম, চীন, কোরিয়াসহ নানা দেশে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রপ্তানি হয়। দেশেও এই কেমিক্যালের চাহিদা রয়েছে। তুলনা মূলকভাবে সস্তা এই কেমিক্যাল প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রতি জারে ৩০ লিটার করে ভর্তি করে এই কেমিক্যাল রপ্তানি করা হয়। ২০ ফুটি একটি কন্টেনারে ২০ টন হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বোঝাই করে জাহাজীকরণ করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ায় কেমিক্যালটি রপ্তানি হলেও বিএম কন্টেনার ডিপোর বিস্ফোরণের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সমুদ্রপথে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পরিবহন না করার ঘোষণা দিয়েছে তিনটি মেইন লাইন অপারেটর (এমএলও)। একই সাথে আরো কয়েকটি শিপিং লাইন্সও তাদের জাহাজে এই কেমিক্যাল ভর্তি কন্টেনার পরিবহন না করার কথা বলেছে। মেইন লাইন অপারেটরগুলোর মধ্যে ও এন ই, ও ওসিএল এবং গোল্ডস্টার শিপিং লাইন হাইড্রোজেন পার অক্সাইডভর্তি কোন কন্টেনার পরিবহন করবে না। আরো কয়েকটি শিপিং লাইন একই কথা বলছে বলেও বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ স্বীকার করেছেন।

সমুদ্রগামী জাহাজে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডভর্তি কন্টেনার পরিবহন না করায় এই কেমিক্যাল রপ্তানিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের চারটি আইসিডিতে ১১৩ কন্টেনার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। যেগুলো সমুদ্রগামী জাহাজের মাধ্যমে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রামের ওসিএল ডিপোতে ৪৯ কন্টেনার, পোর্টলিংক ডিপোতে ৩৩ কন্টেনার, ইস্টার্ন লজিস্টিকে ২৪ কন্টেনার এবং কেএনটিতে ৭ কন্টেনার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। এসব পণ্য এখন আর রপ্তানি করার পথ থাকছে না বলেও সূত্র জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধান আসামিসহ ৮ জন কারাগারে চার জনের জামিন
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে নারী পর্যটকের মৃত্যু আটক ২ বন্ধু