২০০৩ সালের পর সাফ ফুটবলের শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আর ২০০৯ সালের পর আর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ এসেছে এবার বাংলাদেশের সামনে। আজ সেমিফাইনালে ওঠার মিশনে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এবার কি ১৪ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারবে নাকি আরো একবার হতাশ হয়ে ফিরতে হবে সে প্রশ্নের জবাব মিলবে আজ। লেবাননের বিপক্ষে হার দিয়ে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ৩–১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। মালদ্বীপের বিপক্ষে সে জয় আশার সঞ্চার করেছে ফুটবল প্রেমীদের মনে। টুর্নামেন্টের বি গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে লেবানন। দুই ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশ দুই দলেরই পয়েন্ট ৩। গোল ব্যাবধান ০। তলানিতে থাকা ভুটানের পয়েন্ট শূন্য। আজ বি গ্রুপের চার দলই মাঠে নামবে। লেবাননের বিপক্ষে মাঠে নামবে মালদ্বীপ। ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আপাত দৃষ্টিতে ভুটানের বিপক্ষে জয় পেলে অনেকটাই নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলা। কারণ শক্তির বিচারে মালদ্বীপের চাইতে অনেক এগিয়ে লেবানন। আর সেই ম্যাচের ফলাফল আনেকটাই অনুমেয়। তবে কাগজ কলমের হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে চার দলেরই। মালদ্বীপ লেবাননের কাছে হারলে এবং বাংলাদেশ ভুটান ড্র হলে বাংলাদেশ ৪ পয়েন্ট নিয়ে মালদ্বীপকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে যাবে। মালদ্বীপ–লেবানন ও বাংলাদেশ–ভুটান উভয় ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের সমান ৪ পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান ০ হবে। তখন গোল বেশি দেয়া দল সেমিফাইনাল যাবে। দুই ম্যাচ শেষে দুই দলই তিনটি করে গোল দিয়েছে। শেষ ম্যাচে মালদ্বীপ গোলশূন্য ড্র আর বাংলাদেশ ১–১ ড্র করলে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে। মালদ্বীপ লেবাননের সাথে ড্র কিংবা হারলে এবং বাংলাদেশ ভুটানকে হারালে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লেবানন ও বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলবে। মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ উভয় দল শেষ ম্যাচে জিতলে তখন লেবানন, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট ৬ হবে। তিন দলের মধ্যে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা দুই দল সেমিফাইনালে যাবে। মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি গোলের ব্যবধানে শেষ ম্যাচ জিতলে মালদ্বীপ সেমিফাইনালে খেলবে।